কুলাউড়া বাংলাদেশী অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জালাল-রেনু প্যানেল। গত ১২ জানুয়ারি রোববার এস্টোরিয়ার জালালাবাদ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভোটারের পিতার নাম তালিকায় না থাকা, কমিশন ও বর্তমান কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তাদের বিতর্কিত কার্যক্রম এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে এর প্রতিবাদ হিসেবে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে প্যানেলের কর্মকর্তারা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আতিকুল হক শাহীন, সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ ইকবাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন জালাল, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কয়ছর রশীদ, বর্তমান সহ-সভাপতি আব্দুল মালিক মুরাদ, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তা আনোয়ার চৌধুরী পারেক, সাবেক কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জনি, প্রভাষক আফাজুর রহমান চৌধুরী (ফাহাদ) প্রমুখ।
কুলাউড়ার পরিচিত ব্যবসায়ী বদরুল ইসলাম বদই-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজাউল করিম রেনু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. মান্নান, জাবির মুক্তাদির, সাঈদ আলী, মুজিবুর রহমান রহমান মুজিব, মো. বদরুল ইসলাম, সামছু মিয়া, মো. সুরুজ মিয়া, মো. রুহুল আমিন, আশরাফ হোসেন শুভ, শেখ শাকিল আহমেদ, শেখ হোসাইন আহমেদ, আবুল কাশেম, জিয়াউর রহমান, শামসুল মুরাদ, শেখ আহমেদ, মো. জেবুল আহমেদ, জুনেদ আহমেদ, রুমন, মো. জায়েদ আহমেদ, নাজমুল ইসলাম, মো. করিম, আব্দুর জব্বার সিদ্দিকী, আব্দুল আজিজ চৌধুরী প্রমুখ।
জালাল-রেনু প্যানেলের পক্ষে কুলাউড়া অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক উপদেষ্টা ও নির্বাচন কমিশনার জাবেদ খসরু লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান।
লিখিত বক্তব্যে জাবেদ খসরু বলেন, আপনারা জানেন কুলাউড়া অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন আসন্ন। ভোটার অন্তর্ভূক্তি নিয়ে দুটি প্যানেল ব্যস্ত। প্রথমে দু’একজন, এরপর ধীরে ধীরে কুলাউড়ার সচেতন ভোটারদের সকলের একটাই প্রশ্ন? বইতে ভোটারের নাম আছে, কিন্তু ভোটারের পিতার নামের কলাম কই? পিতার নাম ছাড়া ভোটার কুলাউড়ার কি-না, বুঝবেন কিভাবে?
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, আমরা জালাল-রেনু প্যানেলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে দরখাস্ত দেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। নির্বাচন কমিশন বর্তমান কমিটিকে দায়িত্ব দেয়। কমিটি জরুরি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত দেয়, সবই ঠিক আছে। যেভাবে অতীতে ভোট হয়েছে, সেভাবেই হবে।
অথচ কমিটি এটা খতিয়ে দেখেনি, পিতার নাম ভোটার তালিকায় না থাকার কারণে ধীরে ধীরে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। একই সাথে ভূয়া ভোট রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যাও। কমিটি বুঝার চেষ্টা করেনি, এই প্রশ্ন কেন উঠেছে। তারা বিচার-বিশ্লেষণ না করেই একতরফা রায় দিয়েছে সবই ঠিক আছে, অতীতে হয়েছে এবারও হবে।
জাবেদ খসরু বলেন, আমরা চেয়েছিলাম, ভোটার তালিকায় ভূয়া ভোট অন্তর্ভূক্তি আটকাতে, কিন্তু পারিনি। চেয়েছিলাম সুস্থ পরিবেশে ভোট আয়োজন করা হউক। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীনরা অসুস্থ পরিবেশকেই বেছে নিলেন।
আমরা চাই না, অসুস্থ চর্চার এ ভোট আয়োজনে কুলাউড়াবাসী শরিক হউক। তাদের ভোটাধিকার রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
আমাদের ঘোষণা, কুলাউড়া অ্যাসোসিয়েশনের আসন্ন নির্বাচন বয়কটে বাধ্য হচ্ছি। সংবিধানে সুষ্ঠুভাবে ভোটার অন্তর্ভুক্তির সঠিক নীতিমালা না আনা পর্যন্ত আগামীতেও কুলাউড়া এসোসিয়েশনের যে কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা করছি।