সিলেট-৩ (বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক দেওয়ান আব্দুল হাদী চৌধুরী জনগণের সেবা, সততা ও পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে তিনি নিজেকে সাধারণ মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান। ঐতিহ্যবাহী বালাগঞ্জের গহরপুর দেওয়ান বাড়ি শুধু আমার দাদাবাড়ি নয়—এ অঞ্চলের রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নের দীর্ঘ ইতিহাস বহন করে।
তাঁর অভিযোগ—গত ৫৪ বছরের মাফিয়াতান্ত্রিক রাজনীতি দেশপ্রেমিক ও সৎ মানুষকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। তিনি বলেন, আজ সেই অন্ধকারের অবসান হয়েছে। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে আমি জনগণের সামনে দাঁড়িয়েছি।
দেওয়ান আব্দুল হাদী জানান, তিনি ক্ষমতার জন্য নয়—জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচারের জন্য রাজনীতিতে এসেছেন। শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধি এবং এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের একজন কেন্দ্রীয় সংগঠক হিসেবে তিনি শ্রমিক, কৃষক, প্রবাসী ও তরুণদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাকে তাঁর রাজনীতির মূল লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমার প্রচারণায় থাকবে না দামি গাড়ির বহর বা টাকার ঝনঝনানি। আমার একমাত্র শক্তি জনগণ, আর একমাত্র পুঁজি সততা ও মানবিকতা।
তার মতে, প্রতিটি উঠোন, চায়ের দোকান, হাটবাজার ও গ্রামীণ জনপদই হবে তার প্রচারণার মঞ্চ। তিনি বিশ্বাস করেন-এই নির্বাচন শুধু একজন প্রার্থীর নয়, এটি জনগণের নির্বাচন।
নিজেকে ‘সাধারণ মানুষ’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, আমি কোনো কোটিপতি নই। আমি একজন শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধি, যার একমাত্র সম্পদ জনগণের বিশ্বাস।
তিনি মনে করেন, সিলেটের অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ব্যর্থ নেতৃত্ব ও দুর্নীতির কারণে এই অঞ্চল এখনও উন্নয়নবঞ্চিত। তিনি বলেন—প্রাকৃতিক সম্পদ, পর্যটন, গ্যাস, রেমিট্যান্স—সবকিছু মিলিয়ে সিলেট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইঞ্জিন হতে পারত। কিন্তু অদক্ষ রাজনীতির কারণে আমরা পিছিয়ে আছি।
তাঁর নির্বাচনী স্লোগান— সততা আমার শক্তি, জনগণ আমার ভরসা।
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন—নির্বাচিত হলে সংসদ সদস্য হিসেবে নয়, জনগণের ঘরের সন্তান ও সেবক হিসেবেই কাজ করবেন।
তাঁর প্রধান অঙ্গীকারগুলো হলো—
শ্রমিক অধিকার: ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক সুরক্ষা
কৃষক কল্যাণ: কৃষি ঋণ, সার-বীজ, সেচ সুবিধা সহজলভ্যকরণ; ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত
প্রবাসী সেবা: প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড শক্তিশালীকরণ; কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন
তরুণ উন্নয়ন: শিক্ষা, কারিগরি প্রশিক্ষণ, আইটি দক্ষতা ও উদ্যোক্তা সহায়তা
নারীর ক্ষমতায়ন: শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা
অবকাঠামো উন্নয়ন: রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও শিক্ষা উন্নয়ন
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিত
তিনি বলেন—টাকায় নয়, মানুষের ভালোবাসায় পরিবর্তন আসে।
দেওয়ান আব্দুল হাদী চৌধুরীর স্বপ্ন—একটি উন্নত, আধুনিক ও মানবিক সিলেট। তাঁর পরিকল্পনায় রয়েছে— নির্বাচনী এলাকা সিলেট ৩ আসনসহ পুরো সিলেটকে আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্যে উন্নীত করা।
মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সহজলভ্য করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তরুণদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা, প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ সংরক্ষণ, সিলেটের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখা।
তিনি বলেন, সিলেটের সম্ভাবনা অপরিসীম। সততার নেতৃত্বই পারে সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে।
তিনি ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন—আমি টাকা চাই না, চাই আপনাদের একটি মূল্যবান ভোট—যা সিলেটের ভাগ্য পরিবর্তনের সূচনা করবে।
এ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন— এটি সততা বনাম দুর্নীতির লড়াই, ন্যায় বনাম অন্যায়ের লড়াই। আপনার ভোটই পারে সিলেট-৩ থেকে নতুন ইতিহাস রচনা করতে।
দেওয়ান আব্দুল হাদী চৌধুরী জানান, জনগণের মতামত, পরামর্শ ও সহযোগিতাই তাঁর রাজনীতির শক্তি। তিনি সবসময় মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
তাঁর স্লোগান -সততায় শক্তি, সেবায় রাজনীতি।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জিন্দাবাদ।
ভোট দিন—পরিবর্তন আনুন, সিলেটের উন্নয়ন—আমাদের অঙ্গীকার।,
