বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১ নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কামালখানী গ্রামের বাসিন্দা আবুল মহসিন। বাবার নাম মৃত আছন উল্লা।এতোদিন রাষ্ট্রের তালিকায় মৃত হলে ও এখন আবার রাষ্ট্রের তালিকায় জীবিত আছেন।বয়ষ্ক ভাতার তালিকায় পুনরায় যুক্ত হয়েছে তার নাম।নিয়মিত পাচ্ছেন বয়ষ্ক ভাতা।তবে দায়ীদের বিরুদ্ধে এখনো নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।
সূত্রে জানা যায়,বানিয়াচং সদরের তৎকালীন ১ নং ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান ও ওয়ার্ড মেম্বার শহীদ মিয়া ২৯ মে ২০২৪ সালে আবুল মহসিনের মৃত্যু সনদ ইস্যু করে তাকে মৃত দেখিয়ে বয়ষ্ক ভাতা হাল নাগাদ প্রতিস্থাপনের তালিকা জমা দেন স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয়ে ।এরপর থেকে জীবিত থেকে ও এক বছরের ও বেশি সময় আবুল মহসিনের বয়ষ্ক ভাতা সহ সকল নাগরিক সবিধা কার্যত বন্দ ছিলো।
এনিয়ে বিগত ২৬ শে জুলাই দৈনিক সবুজ সিলেটে ”জীবিত থেকে ও রাষ্ট্রের তালিকায় মুত আবুল মহসিন”এই শিরোনামে এক অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।পাশাপাশি স্থানীয় এবং অন্যান্য জাতীয় গনমাধ্যমে ও খবরটি শিরোনাম হয়।বিভিন্ন গনমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হলে আরো ভুক্তভোগীর চিত্র সামনে আসে।তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের প্রতারনার শিকার আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।এনিয়ে হৈচৈ পড়ে স্থানীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ে।তড়িঘড়ি করে আবুল মহসিনের নাম পুনরায় যুক্ত করা হয় বয়ষ্ক ভাতার তালিকায়।
এসব অভিযোগের তদন্তের জন্য বিগত ১৬ সেপ্টেম্ভর বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মককর্তাকে হবিগ্ঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়। ইউএনও তদন্তের দায়িত্ব দেন স্থানীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ে।
সূত্র জানায় তদন্তে এসব প্রতারনার সত্যতা পেয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেন সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।এরই প্রেক্ষিতে গত ২৮শে অক্টোবর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও ইউপি সদস্য শহীদকে কারন দর্শানোর জন্য চিঠি ইস্যু করা হয়। ভুল স্বীকার করে বিগত ৬ নভেম্ভর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত জবাব দেন ইউপি সদস্য শহীদ মিয়া। ইউপি সদস্য শহীদ মিয়ার লিখিত বক্তব্যে ও গুজামিল স্পষ্ট লক্ষ্য করা গেছে। ইউপি সদস্য শহীদ যে মৃত ব্যক্তির কথা লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন তা অনলাইন ও ইউপির মৃত্যূ নিবন্ধন রেকর্ডে ও নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,আবুল মহসিন পিতা মৌলভী আব্দুর রহমান নামে যিনি মারা গেছেন তা প্রায় ১০/১২ বছর আগেকার কথা।তাছাড়া দুজনের বাবার নাম ও ভিন্ন।
ভুক্তভোগী আবুল মহসিন সবুজ সিলেটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার ভাষায় বলেন,আমি অখন বয়ষ্ক ভাতা পাইতাছি।এর আগে চেয়ারম্যান অফিস থেকে শুরু করে উপজেলার কতো জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করেছি কিন্ত তখন কোন সমাধান পাইনি।আমার সাথে যারা এমন করলো তাদের সঠিক বিচার হলে মনে শান্তি পাইতাম।
সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন জানিয়ে বলেন,আমি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
এসব বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন অভি বলেন,বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন।