শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সিলেটের গ্রাম থেকে যাওয়া আবুল হোসেন এখন মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার

মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে বিশেষ চেম্বার অধিবেশনে স্পিকারের দায়িত্বে রয়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন দাতু। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দাতুর মূল বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে।

১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওই অধিবেশনের খবর মালয়েশিয়া পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তার স্পিকার হওয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়।

সরকারি প্রশাসন বিধিমালা (১৭) প্রস্তাবের অধীনে অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয় তাঁর সভাপতিত্বে। তাতে অংশ নেন বুকিত গানতাংয়ের এমপি ওয়াইবি দাতো সৈয়দ আবু হুসেন বিন হাফিজ সৈয়দ আব্দুল ফাসাল এবং বাংগির এমপি তুয়ান সিয়াহরেডজান বিন জোহান। উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও গৃহায়ন–স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি।

এই দায়িত্ব পালনকে ঘিরে সিলেট ও যুক্তরাজ্যে তাঁর স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দ। ইংল্যান্ডের ডার্লিংটনে থাকা তাঁর চাচাতো ভাই, কমিউনিটি নেতা ও ইমাম সৈয়দ ছাবির আহমদ বলেন, সিলেটি পরিবার থেকে উঠে এসে মালয়েশিয়া পার্লামেন্টে স্পিকার হওয়া নিঃসন্দেহে গর্বের। এটি পুরো বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির সাফল্য।

১৯৬০ সালে মালয়েশিয়ার পেরাকের তাইপিংয়ে জন্ম নেন আবুল হোসেন। তাঁর বাবা সৈয়দ আবুল ফজল ১৯৫৫ সালে সিলেটের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। পরে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব নিলেও নিজের শিকড়ের পরিচয়ে সন্তানদের গর্ববোধ শিখিয়েছেন তিনি। সেই পরিচয়ের প্রতিধ্বনি শোনা যায় আবুল হোসেনের এক ফেসবুক পোস্টে—‘আমি বাঙালি পূর্বপুরুষের সন্তান হয়ে গর্ববোধ করি।’

মালয়েশিয়ার বিএন পার্টি থেকে নির্বাচিত এমপি আবুল হোসেন এর আগে হাউজিং অ্যান্ড লোকাল গভর্নমেন্ট মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন। কমিউনিটিতে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার তাঁকে সম্মানসূচক দাতু উপাধি প্রদান করে।
মালয়েশিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করা এই সিলেটি বংশোদ্ভূত নেতা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।

স্বজনদের সঙ্গে সম্পর্কেও তিনি সবসময় আন্তরিক। চাচাতো ভাই ছাবির আহমদ জানান, আবুল হোসেন নিয়মিতই লন্ডন ও বাংলাদেশ সফর করেন, সবার খোঁজখবর নেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৯ সালে সিলেট সফর করেন। পারিবারিক বন্ধন বজায় রাখতে তিনি তাঁর মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন বাংলাদেশি আত্মীয়ের ছেলের সঙ্গে।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ও তাঁর ভাগিনা সৈয়দ জহুরুল হক বলেন, লন্ডনে আসলেই তিনি আত্মীয়দের সময় দেন। তাঁর সাফল্য আমাদের গর্বিত করেছে।

জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়ার সভাপতি সোনাহর খান রশিদ বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সিলেটি বংশোদ্ভূতদের নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। তাঁর এই সাফল্য প্রবাসীদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াবে।

এই সম্পর্কিত আরো