শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

১৭ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন১৭ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন

আগামী ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন।

এ ঘোষণার ফলে অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শাকসু নির্বাচন।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।

উপাচার্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন করবে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করবো না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা থেকে আন্দোলনে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন। পরে রাত ১০টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যান।

রাত ১১টার দিকে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন ও প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান নির্বাচন সংক্রান্ত আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেননি। পরে রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপাচার্য ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম। তারা আগামী মাসের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে শাকসু নির্বাচন সম্পন্নের প্রতিশ্রুতি দেন।

ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠনতন্ত্রসহ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করা হয়েছে।

তবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীদের দাবি, ৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—‘৮ তারিখ নির্বাচন দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘লন্ডনের প্রেসক্রিপশন এই ক্যাম্পাসে চলবে না’, ‘তুমিও জানো আমিও জানি, ভিসি, প্রো-ভিসি লন্ডনি’, ‘আবু সাঈদ রুদ্র, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু একটি পক্ষের প্রভাবে নির্বাচন পেছানো হয়েছে। গতকাল উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, ৯ বা ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। অথচ আজ হঠাৎ ১৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হলো, যা আমরা মানছি না।’

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এই সম্পর্কিত আরো