সিলেটরে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মীকে। পুলিশের দাবি, আটক ৫ জন নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার হাটুভাঙা গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে কাবিলুর রহমান সোহেল (২৪), পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন মাহিন (২০), পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে সায়মন আহমদ (২০), কায়েস্তগ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মুহিবুল ইসলাম কাওসার ও হবিগঞ্জের বাহুবল থানার বড়গাঁও’র ফরিদ চৌধুরীর ছেলে সিজিল চৌধুরী।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাইজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন ও উপজেলা পরিষদ, শাহজালাল সারকারখানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ককটেল বিস্ফোরণ ও রেললাইন খুলে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েছিল। গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার গভীর রাতে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার কচুয়াবহর এলাকায় সিলেট-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সড়কে চেকপোস্ট পরিচালনা করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাবিলুর রহমান সোহেলকে আটক করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রলীগ নেতা কাবিলুর রহমান সোহেল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিউইয়র্ক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নির্দেশ ও অর্থায়নে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা বৃহস্পতিবার লকডাউন কর্মসূচিকে সামনে রেখে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা। ফেঞ্চুগঞ্জে রেল লাইনের স্লিপার খুলে বড় ধরণের নাশকতা করতে চেয়েছিল তারা। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা এলাকায় ভীতি সঞ্চার ও জানমালের ক্ষতি সাধনের পরিকল্পনা নিয়েছিল।
ওসি জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা ও চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম স্কচটেপ, টোপকাটা, মারবেল, বালতিসহ বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।