রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ জনের মৃত্যু হাসিনাসহ রেহানা পরিবারের তিন মামলায় আরও ২২ জনের সাক্ষ্য কুলাউড়ায় সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন যে আইনে বিচার হবে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের জানালেন প্রসিকিউটর দিরাইয়ে পাবেল চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির বিশাল মিছিল সামাজিক মাধ্যমে এআই-ভুয়া তথ্য: তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট ৬ আসনে এমরান চৌধুরীর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী যাত্রা শুরু সুজানগর ইউনিয়নে পুলিশের উদ্যোগে বিট পুলিশিং বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় যুবলীগ নেতা সেন্টু এখন জাসাস ও জিয়া সৈনিক দলে! সুনামগঞ্জের ধান-চালে আর্সেনিকের উপস্থিতি মানবদেহে সহনীয় মাত্রার তুলনায় অনেক কম
advertisement
সিলেট বিভাগ

জামালগঞ্জে কামালের জমিতে লতা-কচু চাষে সাফল্যের সুবাতাস

সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে এখন ছড়িয়ে পড়েছে সাফল্যের সুবাতাস। আর সেই সুবাতাসের নাম লতিরাজ কচু। উন্নতমানের এই কচু চাষ করে এলাকায় কৃষকদের মাঝে আশার আলো ছড়িয়েছেন চাঁনপুর গ্রামের তরুণ কৃষক কামাল হোসেন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায় কন্দাল ফসল জামালগঞ্জ সদরে মোঃ কামাল হোসেন যশোহর থেকে বারি-১ জাতের ৩০ হাজার চারা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এনে নিজস্ব ৬ বিঘা জমিতে লতিরাজ কচু চাষ করেছেন। মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে লতার উৎপাদন শুরু হয়েছে। যা স্থানীয় বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমানে তিনি সপ্তাহে ১২ থেকে ১৫ মন লতি বিক্রি করেছেন। কৃষক কামালের চোখে সাফল্যের স্বপ্ন। তার ক্ষেতের সবুজ লতা পাতায় সাফল্যের মালা শুধু একজন কৃষকের স্বপ্ন নয় বরং এটিও হতে পারে শত কৃষকের পথ দেখানোর স্বপ্নের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সঠিক পরিচর্যা ও তার পরিশ্রমের ফসল হয়ে উঠেছে লতিরাজ কচু। তার সুবাতাস ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি কৃষকের মাঝে।

একই এলাকার ধান চাষি আব্দুস সালাম বলেন, কামাল ভাইয়ের লতিরাজ কচু ক্ষেত দেখে এলাম। ফলন দেখে আমি অভিভূত, তাই আগামী মৌসুমে আমিও লতিরাজ কচু চাষ করবো।

কৃষক কামাল হোসেন বলেন, যশোহরে এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে তার লতি কচু চাষ ও লাভ দেখে আমি লতি কচু চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগে আমি এই জমিতে আমন ধান চাষ করতাম, পরে বাদাম চাষ করতাম। বন্ধুর পরামর্শে ৬ বিঘা জমিতে এখন লতিরাজ কচু চাষ করছি। কচুর চারা, সার ও শ্রমিক খরচ বাবদ প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এপর্যন্ত ১৫ মন লতা বিক্রয় হয়েছে। আশা করি আগামী বর্ষা আসার আগ পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার লতা বিক্রি করতে পারবো। লতা বিক্রি শেষ হলে মেডিসিন দিয়ে মোড়া কচু বিক্রয় করা যাবে। এতে করে আরো দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন কৃষক ক্ষেত দেখতে আসে, অনেকেই আগামীতে লতা কচু চাষ করতে উৎসাহিত হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহা জানান, কচু জাতীয় ফসল অর্থকরী ফসল। প্রতি বিঘা জমিতে লক্ষাধিক টাকা আয় সম্ভব। লতিরাজ কচু কেবল আর্থিকভাবে লাভবান নয় এটি আয়রন সম্বৃদ্ধ সবজি। যা গর্ভবতী মা এবং শিশুদের পুষ্টি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখে। এই উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় মুখী কচু, লতিরাজ কচু, পানি কচু চাষে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এবার এই উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে কন্দাল ফসল উৎপাদন হবে। লতিরাজ কচু চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন কৃষকের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে।

এই সম্পর্কিত আরো

ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ জনের মৃত্যু

হাসিনাসহ রেহানা পরিবারের তিন মামলায় আরও ২২ জনের সাক্ষ্য

কুলাউড়ায় সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন

যে আইনে বিচার হবে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের জানালেন প্রসিকিউটর

দিরাইয়ে পাবেল চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির বিশাল মিছিল

সামাজিক মাধ্যমে এআই-ভুয়া তথ্য: তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত

সিলেট ৬ আসনে এমরান চৌধুরীর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী যাত্রা শুরু

সুজানগর ইউনিয়নে পুলিশের উদ্যোগে বিট পুলিশিং বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

কুলাউড়ায় যুবলীগ নেতা সেন্টু এখন জাসাস ও জিয়া সৈনিক দলে!

সুনামগঞ্জের ধান-চালে আর্সেনিকের উপস্থিতি মানবদেহে সহনীয় মাত্রার তুলনায় অনেক কম