সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদ সোহাগের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মূশফিকীন নূর এর তত্ত্বাবধানে ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর মো. রুবেল রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য দাফনকৃত লাশ উত্তোলন করেন।
লাশ উত্তোলন প্রক্রিয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন—সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস মিয়া,উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রহিছ উদ্দিন,
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃফারুক আহমদ,
ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তালুকদার,উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফখরুল আলম চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অজিত কুমার রায়,ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া, শহীদ সোহাগের পিতা আবুল কালাম, ভাই শুভ মিয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শহীদ সোহাগের পিতা আবুল কালাম বলেন,“আমাদের মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তদন্তের সুবিধার্থে আমার ছেলে শহীদ সোহাগের লাশ ময়নাতদন্ত ও সুরতহালের জন্য উত্তোলন করা হচ্ছে। আমি চাই আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি হোক। পাশাপাশি আমার আবদারের পর জেলা প্রশাসক মহোদয় স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ায় আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মূশফিকীন নূর বলেন,“শহীদ সোহাগের মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। তার পরিবার আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল সম্পন্ন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মিয়া বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় সোহাগকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে। সোহাগের পিতাকে সান্ত্বনা দিতে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।”
ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।