ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঘোষিত তালিকায় অনুমিতভাবে আছেন যেমন অনেক নেতা, তেমনি নেই আলোচিত অনেক নেতাও। আলোচিত বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নাম নেই।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলটির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ নাম ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তালিকায় দেখা যায়, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনের ফয়সল আহমদ চৌধুরী ও সদ্য নিযুক্ত দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরের নাম নেই।
আরিফুল হক চৌধুরী সম্প্রতি সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ) মাজার জেয়ারতের মাধ্যমে সিলেট-১ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এই আসনে বিএনপি প্রার্থী করেছে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির এমপি হওয়া প্রয়াত খন্দকার আবদুল মালিকের পুত্র খন্দকার মুক্তাদির আহমদকে।
সিলেট-৬ আসনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ফয়সল আহমদ চৌধুরী। বহুল আলোচিত ওই নির্বাচনে তিনি লক্ষাধিক ভোট পেলেও হেরে যান সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে। আসছে নির্বাচনেও তিনি ছিলেন আলোচনায়। কিন্তু দল তাকে মনোনয়ন না দিয়ে দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীকে।
সিলেট-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নের দাবিদার ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি দল মনোনয়ন দিয়েছে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আবদুল মালিককে।
সিলেট-২ আসনে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরের নাম প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হচ্ছিল কিছুদিন ধরে। বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের পর তিনি সিলেটে ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তার ওপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছিলেন, সিলেট থেকে নির্বাচন করবেন হুমায়ুন কবির। সিলেটবাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাচ্ছে, এমন ইঙ্গিতও করেছিলেন হুমায়ুনকে উদ্দেশ করে। কিন্তু বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় নেই সেই হুমায়ুন কবির। এখানে বিএনপি প্রার্থী করেছে ২০১২ সাল থেকে নিখোঁজ বিএনপির সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে।