কুলাউড়া বাংলাদেশি এসোসিয়েশন অব ইউএসএ’র ভোটার তালিকায় রেজিস্ট্রেশন আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ১২ জানুয়ারি রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা দেন এসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিরাজ উদ্দিন আহমদ সোহাগ। কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১ হাজার ৮ জন সাধারণ ভোটার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। সাবেক ও বর্তমান মোট লাইফ মেম্বার ৬২ জন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার তজম্মুল আলী এবং আব্দুল মুকিত চৌধুরী। এদিকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ভোটারদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আসন্ন এসোসিয়েশনের নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী ‘খসরু-সুয়েব’ পরিষদ সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অপরদিকে ভোট রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিনে এসে এস্টোরিয়ায় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে পিতার নাম ছাড়া ভোটার তালিকা করার অভিযোগ এনে ভোট বয়কটের ঘোষণা দিলেন জালাল-রেনু পরিষদ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অতীতে কুলাউড়া এসোসিয়েশনের ৫টি নির্বাচনে ভোটার তালিকায় পিতার নাম অন্তর্ভুক্তির বিধান ছিলোনা। শুধুমাত্র ভোটারের নাম ঠিকানা, মোবাইল ও জন্ম সাল দিয়ে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম ছিলো।
একাধিক ভোটার জানান, একটি এসোসিয়েশনের ভোটার হতে যদি এত তথ্য দেওয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব না। কারণ তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত না হয়ে কেউই এ রকম একটি প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত তথ্য দিতে চাইবে না। আগেতো এ রকম নিয়ম ছিলোনা।
তখনও এ রকম তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়া যেতো। এখন হঠাৎ শুনি একটি প্যানেল পিতার তথ্য নিয়ে ভোটার তালিকায় নিবন্ধন চায়। কমিউনিটির সাথে সম্পৃক্ত থাকার জন্য এ রকম এসোসিয়েশনের সাথে যুক্ত থাকেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এখানে ব্যক্তিগত সকল তথ্য দিয়ে কেউই নিজের তথ্যের গোপনীয়তাকে ঝুঁকিতে ফেলে ভোটার হতে চাইবে না।
তাছাড়া এ বছর নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিনে এসে ভোটারদের সাথে তাদের পিতার নামের অন্তর্ভুক্তির দাবি এনে ভোট বয়কটের ঘোষণা দেওয়ায় অনেকটা বিস্মিত ভোটাররা।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে এস্টোরিয়ার বৈশাখী হোটেলে আনুষ্ঠানিক ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন অনুষ্ঠানে এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ্ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদের সঞ্চালনায় নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ লুৎফর রহমান চৌধুরী হেলাল, খসরু-সুয়েব পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহব্বায়ক রাশেদুল মান্নান চৌধুরী হেশাম, সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন লিটন, খসরু-সুয়েব পরিষদের সভাপতি প্রার্থী সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মঈনুর রহমান সুয়েব, বর্তমান কোষাধ্যক্ষ কামাল আহমেদ, ভাটেরা এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, সংগঠক শওকত হোসেন, মিসবাউর রহমান এনাম, ফরহাদুল ইসলাম লিটু, রাহাত বিন ওয়াহিদ প্রমুখ।
এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বয়কটের ঘোষণা দিয়ে জালাল-রেণু পরিষদের সভাপতি প্রার্থী এনায়েত হোসেন জালাল বলেন, পিতা নাম ছাড়া ভোটারদের নাম ছাড়া অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সংবিধানে সুষ্ঠুভাবে ভোটার অন্তর্ভুক্তির সঠিক নীতিমালা না আনা পর্যন্ত, আগামীতে এসোসিয়েশনের কোনো কর্মসূচিতে অংশগগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেজাউল করিম রেণু, জাভেদ খসরু, আশরাফ আহমেদ ইকবাল, কয়ছর রশীদ, আফাজুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হাজী বদরুল ইসলাম।