সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃবৃন্দ মিছিলসহকারে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের কাছে নির্বাচন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
নেতৃবৃন্দ জানান, জেলা প্রশাসক তাঁদের বলেছেন— বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যে অভিযোগটি করা হয়েছে, সেটি যদি প্রত্যাহার করা হয়, তাহলে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি দ্রুতই ভালো কোনো সংবাদ আসবে।
তাঁরা বলেন, “সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়-বাণিজ্যের গতি ব্যাহত হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি ১ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা জয়লাভ করব, ইনশাআল্লাহ।”
এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “দুইজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হলেও কোনো কারণ জানানো হয়নি।”
এর আগে, গতকাল (২৬ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মারক নম্বর: ২৬.০০.০০০০.০০০.১৫৬.৩২.০০০১.৯২.২৭১) সিলেট চেম্বারের ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে সদস্যপদ যাচাই-বাছাই করে পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নতুন তারিখে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে চিঠিতে স্থগিতের স্পষ্ট কারণ উল্লেখ না থাকলেও ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
চেম্বারের প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদা পারভীন বলেন, “তালিকায় কিছু সমস্যা নিয়ে কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে নতুন তফসিল ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছে।”
সূত্র জানায়, সাবেক পরিচালক আমিরুজ্জামান দুলুর আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি সম্প্রতি এ বিষয়ে তিন পৃষ্ঠার একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন।
এর আগে ১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। দুটি প্যানেল— সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম— থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।