মটর-সাইকেল দুর্ঘটনাকে, মারামারির নাটক সাজিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে কানাইঘাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার দিঘীরপাড়পূর্ব ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
আজ রবিবার বিকাল ৩টায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে মাহতাব উদ্দিন বলেন একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র ছাদিকুর রহমান গংদের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ছাদিকুর রহমান তার ব্যাক্তিগত একটি প্রাইভেট স্কুলের রাস্তার দোহাই দিয়ে আমাদের মালিকানা পৌত্রিক সম্পত্তি, পার্শবর্তী পূর্ব সরদারের মাটি মৌজার ১১৩, ১১৪, ১১৫ নং দাগের ফসলি জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অপ-চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। আমরা তাতে রাজি না হওয়ায় আমি সহ আমার বৃদ্ধ বাবা ও স্বজনদের আসামী করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে যাচ্ছে।
এরই ন্যায় গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে ছাদিকুর রহমান মটর-সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন। যা এলাকার সবাই জানে। এ র্দুঘটনা বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ যথেষ্ট প্রমাণাদি রয়েছে। কিন্তু ছাদিকুর রহমান আমাদের ঘায়েল ও ক্ষতিগ্রস্থ করতে এই দুর্ঘটনাকে, সংঘাত-সংর্ঘষের নাটক সাজিয়ে গত ১৯ অক্টোবর আমার বৃদ্ধ বাবা সহ আমার পরিবারের ৫ জনকে আসামী করে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের মামলা নং ৩৬৩। ছাদিকুর রহমান দুঘটনায় আহত হওয়ার যথেষ্ট প্রমাণাদি থাকা সত্বেও তিনি কি ভাবে আদালতে ডাহা মিথ্যা বানোয়াট এই মামলাটি আমাদের উপর দায়ের করলেন এতে আমরা হতবাক হয়েছি।
দুর্ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর তিনি সম্পুর্ণ মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছেন। ছাদিকুর রহমান ঐ মামলায় উল্লেখ করেছেন আমরা নাকি ঐদিন দা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে তার উপর হামলা করেছি। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এভাবে আমাদের উপর ছাদিকুর রহমান প্রত্যেকটি মামলা মিথ্যা গল্প দিয়ে সাজিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাহতাব উদ্দিন আরো বলেন, ছাদিকুর রহমান আমাদের ঘায়েল করতে বেপরোয়া হয়ে গেছেন। কারন তিনি ফসলী মাঠের মধ্যে, নাম মাত্র একটি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্টান করেছেন। এ প্রতিষ্টানে যাতায়াতের জন্য ঈদগাঁহ খালের পুর্বপাড় দিয়ে সরকারী রাস্তা রয়েছে। কিন্তু পূর্ব বিরোধের জেরে ছাদিকুর রহমান আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ করতে একই খালের পশ্চিমপাড় হয়ে আমাদের মালিকানা পৌত্রিক জমির উপর দিয়ে আরেকটি রাস্তা র্নিমাণের অপ-চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অথচ এই প্রতিষ্টানে উল্লেখযোগ্য কোন শিক্ষার্থী নেই। আশপাশে কোন বাড়ি-ঘর নেই। অথচ ছাদিকুর রহমান এই শিক্ষা প্রতিষ্টানের দোহাই দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের উপর একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে।
অনুরূপ মহামান্য আদালতে ৩৬৩ নং মামলার মত একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে চলছেন। মামলার ঘানি টানতে গিয়ে আমরা দরিদ্র মানুষ, অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
এমতাবস্থায় মটর-সাইকেল র্দুঘটনায় আহত ছাদিকুর রহমান কর্তৃক আমাদের উপর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা সঠিক ভাবে তদন্ত করে বিহীত ব্যবস্থা করার জন্য সিলেটের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাহতাব উদ্দিনের পিতা আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, স্থানীয় ইউপি সদস্য মঈন উদ্দিন চৌধুরী, বিশিষ্ঠ মুরব্বী জয়নুল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, আব্দুল্লাহ মিয়া, আব্দুস ছুবহান, শরীফ উদ্দিন সহ এলাকার আরো অনেকে।