আলোচিত শাহ আরেফিনে টিলা থেকে অবৈধ পাথর লুটের অন্যতম হোতা বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানীকে তার এক সহযোগীসহ যৌথ বাহীনির অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে আলোচিত সাদা পাথর লুটপাট ঠেকাতে টহলরত পুলিশের উপর হামলার ঘঠনায় ভোলাগঞ্জে অস্হায়ী বসবাসকারী রোকন মিয়াকে থানায় অন্য এক সুপারিশ কাজে গেলে চৌকষ পুলিশ প্রশাসন তাকেও আটক করে রাখে।
থানা সূত্রে ঘঠনার বিবরণে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শাহআরেফীন টিলায় পাথর লুটপাটে চিহ্নিত একটি প্রভাবশালী মহল পাথর লুটে জড়িত। তন্মধ্যে শাহআরেফীন টিলা সংলগ্ন জালিয়ার পার গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে বশির মিয়া ওরফে বশির কোম্পানী অন্যতম। মূলত পেশীশক্তির জোরে অবাধে পাথর লুটপাট কান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে বেশ।
উপজেলা প্রশাসন কোম্পানীগঞ্জ বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ, বিজিবি কতৃক নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। অন্যদিকে সাথে থাকা আরেক সহযোগী ব্যক্তি আব্দুল মালেক, পিতা আব্দুর রহমান সাং বাহাদূরপুর কেও আটক করে থানায় আনা হয়। পরে তাদেরকে ১ বছর ও ৩ মাসের সাজা ডেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে বশির মিয়া ওরফে বশর কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্র, পুলিশের উপর হামলাসহ বেশ কটি মামলাও রয়েছে।
অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জ থানা কম্পাউন্ডে (থানার ভেতরে) আসা আরেক ব্যক্তির সুপারিশে আসা রোকন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেন কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তাৎক্ষণিক তথ্য উপাত্তে সে গত জুলাই মাসে ভোলাগঞ্জ পর্যটন এলাকার সাদা পাথর লুটপাট ও বাধাদানকারী বলে প্রমানিত হয়।
রোকন মিয়া ভোলাগন্জ এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করে সিন্ডিকেট তৈরি করে সাদা পাথর /লুটপাটের জড়িত বলে পুলিশ জানায়। তার মূল বাড়ী সুনামগঞ্জের মোল্লাপাড়া গ্রামে পিতার নাম ছমির উদ্দিন। তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাসের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা ও আছে বলে জানায় কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্র।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে সাদা পাথর লুটপাট ঠেকাতে ধলাই সেতুর উজানে লিজবহির্ভুত এলাকায় সবধরনের বালি পাথরের নৌকা ঠেকাতে পুলিশের টহলদল ডিউটিরত ছিলো। গভীর রাতে ২ টি স্টিল বডি নৌকা সেতু পাড়ি দিলে টহলরত পুলিশ দল ধাওয়া করলে নিকটস্থ ভোলাগঞ্জ আদর্শগ্রাম গুচ্ছগ্রাম পাড়ে ভীড়ে। সেসময় পুলিশের উপস্থিতি নৌকা নিকটবর্তী হওয়ামাত্র রোকন মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশের উপর হামলা করে বসে। এতে টহলরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘঠনা ঘঠে।
গ্রেফতার ও জেল হাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ রতন শেখ পিপিএম জানান, তিন আসামীর মধ্যে বশির মিয়া ও রোকন মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মোবাইল কোর্ট মাধ্যম তাদের ১ বছর সহ ৩ মাস করে আলাদাভাবে সাজা ডেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পাথর কান্ডে অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।