সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের নতুননগর গ্রামে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক কিশোরীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে এক যুবক। পরে স্থানীয়রা ওই যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুননগর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (২২) দীর্ঘদিন ধরে করিমপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে ও হাজী কনু মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরমা আক্তার (১৫)-এর প্রতি প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিশোরীটি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে এবং সুরমা আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২ টার সময় হাবিবুর রহমান ধারালো বটি দা নিয়ে নতুননগর গ্রামের আব্দুল মালিক মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে সুরমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ও আশপাশের মানুষ ছুটে এসে সুরমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন এবং পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, মেয়েটির শরীরের হাত ও পায়ে অন্তত আটটিরও বেশি কোপের চিহ্ন রয়েছে।
এ সময় স্থানীয়রা অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানকে আটক করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানার এসআই মোখলেছুর রহমান ও এএসআই আব্দুল আহাদ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার ও তার ব্যবহৃত বটি দা উদ্ধার করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় সুরমা আক্তার তার বান্ধবী লাইজা আক্তার ও তুলনা আক্তারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রাতের বেলা বাড়ির এক সদস্য বাইরে যাওয়ার জন্য দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই হাবিবুর রহমান ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করেন।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসীর সহায়তায় আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।