সিলেটে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘২৪ অক্টোবর থেকে সিলেটে একজনের টিকিটে আরেকজন ট্রেনে ভ্রমণ করা যাবে না। ট্রেন ভ্রমণের সময় যাত্রীর এনআইডি কার্ড সাথে রাখতে হবে।’
জেলা প্রশাসকের সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) থেকে সিলেটে টিকিট তদারকি শুরু করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। সকাল থেকে রেল স্টেশনে অবস্থান নিয়ে ট্রেন যাতীদের টিকিট ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) চেক করেন তারা।
টিকিটের নামের সাথে যাত্রীর নামের মিল না থাকা ও সাথে এনআইডি কার্ড না থাকায় দুপুর পর্যন্ত ২০ যাত্রীকে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
জানা যায়, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলি রানী দেব ও শিহাব সারোয়ার অভি সিলেট রেল স্টেশনে অবস্থান নিয়ে ট্রেনে যাওয়া আসা করা যাত্রীদের টিকিট ও এনআইডি কার্ড চেক করেন। এসময় রেল কর্মী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের সঙ্গে ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব সারোয়ার অভি জানান, টিকেটের সাথে যাত্রীর নামের মিল না থাকা ও যাত্রীর সাথে এনআইডি কার্ড না থাকায় দুপুর পর্যন্ত অন্তত ২০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। প্রত্যেককে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এরআগে গত ১৬ অক্টোবর সিলেট জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতিবিদ, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে নিজ নামে টিকিট ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো।
সিলেট রেল স্টেশনে টিকি কালোবাজারির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-সিলেট সড়কের নাজুক অবস্থার কারণে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। এতে বেড়েছে কালোবাজারিও। অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৩/৪ মিনিটের মধ্যেই সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। যার বড় অংশই কালোবাজারিরা কিনে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কালোবাজারি বন্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেছিলেন, আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে সিলেটে রেলওয়েতে পরিবহন করতে হলে এনআইডি কার্ড সাথে থাকতে হবে। একজনের টিকেট অপরজন ব্যবহার করতে পারবেন না৷
তিনি বলেন, এতে প্রথমে কয়েকদিন হয়তো কিছু ভোগান্তি হবে। তবে টিকিট কালোবাজারি বন্ধে এছাড়া আর বিকল্প পথ নেই। একজনের টিকিটে আরেকজন ভ্রমণ বন্ধ করতে পারলে টিকিট কালোবাজারিও বন্ধ হয়ে যাবে।