গোয়াইনঘাটের দমদমীয়া সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের ওপর চোরাকারবারিদের হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জড়িত নয় এমন ব্যক্তিদের আসামি করার প্রতিবাদে ও মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং তদন্তপূর্বক প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও পাহাড়তলী গ্রামের লোকজন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভীতরগুল পাহাড়তলী গ্রামের প্রধান সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলু মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জয়দুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দুদ মিয়া, বিউটি বেগম, চকিনা বেগম, রাসিয়া বেগম, শারমিন বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দমদমীয়া সীমান্তে বিজিবি সদস্যর ওপর হামলার ঘটনায় ১৮ জনকে আসামি করে মামালা করেছে বিজিবি। আসামীদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন কোন প্রকার চোরাচালানের সাথে জড়িত নন এবং তারা নিরীহ পরিবারের লোকজন। চোরাচালানের সাথে সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা না থাকার পরও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বিজিবি।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, প্রকৃত চোরাকারবারীরা মামলার এজহার থেকে বাদ পড়লেও কিছু স্বার্থন্বেষী মহলের তদবিরে নির্দোষী অনেকেকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বর্তমানে বিজিবির করা মামলার ভয়ে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে গ্রাম। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।
মানববন্ধনে সঠিক তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে নির্দোষ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।
উল্লেখ, ৬ জানুয়ারি গভীর রাতে দমদমীয়া সীমান্তে গরু চোরাকারবারিদের হামলায় বিজিবি সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় দমদমীয়া বিওপির সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ থেকে ৫০ জনের নাম অজ্ঞাত করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজিবি কর্তৃক গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার প্রত্যেকটি আসামি চোরাচালানের সাথে জড়িত ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিজিবি টহলকে আক্রমণ করেছিলো, এটা নিশ্চিত হয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। একদল স্বার্থান্বেষী মহল সাধারন জনগনকে ভুল বুঝিয়ে মানববন্ধন করে ঘটনাকে অন্যখাতে প্রবাহিত করে চোরাচালানকে সহায়তা করার প্রচেষ্টা করছে । বিজিবি সর্বদাই দেশ ও জনগনের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছে। দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান দমনে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।