মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

মেধা, শ্রম ও নৈতিকতায় বেড়ে উঠছে জামেয়া ইসলামিয়া শাহপুর

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে এক আশাব্যঞ্জক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান — জামেয়া ইসলামিয়া শাহপুর।

২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ইসলামি শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাজ্য প্রবাসী স্থানীয় শাহপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান রুকন। 
মাদ্রাসাটির  মুহতামিম দায়িত্বে রয়েছেন - মাওলানা হাতিম আল ফেরদৌসী।

তিনি কেবল একজন আলেম বা শিক্ষকই নন; বরং আত্মনির্ভরতা ও পরিশ্রমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি নিজ উদ্যোগে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শাকসবজি, ফুল, ফলসহ বিভিন্ন চাষাবাদ পরিচালনা করে দেখিয়েছেন — জ্ঞান ও শ্রম একসাথে চলতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে ৫ জন শিক্ষক ও প্রায় ১০০ জন অনাবাসিক শিক্ষার্থী পাঠরত রয়েছেন।

পাঠক্রমে রয়েছে নূরানি বিভাগ পর্যন্ত।  ভবিষ্যতে   দাওরায়ে হাদীস পর্যান্ত পরিকল্পনায় রয়েছে ।
শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রতি বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সভা, তিন মাস অন্তর শিশুশিক্ষা প্রদর্শনী ও অভিভাবক সমাবেশ এবং রমজান মাসে বিশেষ কিরাত প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়।

এছাড়া দরিদ্র ও এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থাও রয়েছে।

অবকাঠামোগতভাবে মাদ্রাসাটিতে রয়েছে দুইতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ভবন, ৪টি শ্রেণিকক্ষ, ১টি কম্পিউটার রুম ও দফতর।

তবে আরও ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, আবাসন, রান্নাঘর, খেলার মাঠ নির্মাণ এখন জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর )  সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পরিচালনা পরিষদের আন্তরিকতা মিলে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।

পরিদর্শনকালে প্রতিবেদকের সাথে ছিলেন- লেখক ও গবেষক ডা. আব্দুর রশীদ লুলু এবং তাঁর পুত্র, তরুণ উদ্যোক্তা আনিসুল আলম নাহিদ।

তাঁরা এই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম ও আত্মনির্ভর উদ্যোগ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির আরও  উন্নতির  কামনা করেন।

আলাপকালে মুহতামিম মাওলানা হাতিম আল ফেরদৌসী বলেন— এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জনাব হাবিবুর রহমান রুকন যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর এই উদ্যোগ এই এলাকায় দ্বীনি শিক্ষার ভবিষ্যৎকে আলোকিত করেছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি যাতে জামেয়া ইসলামিয়া শাহপুর আগামীতে সিলেটের অন্যতম আদর্শ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

এই সম্পর্কিত আরো