সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে কোম্পানীগঞ্জ টোল প্লাজার লোডিং এক্সেল কন্ট্রোল স্টেশন চালুর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। মহাসড়কের স্থায়িত্ব ও টেকসই সড়ক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এর গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সিলেট অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় ভোলাগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের পাড়ুয়া অংশে কোম্পানীগঞ্জ টোল প্লাজার উদ্যোগে এলাকাবাসীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন।
তিনি বলেন, “সরকারের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফলেই মহাসড়কে লোড এক্সেল কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন সম্ভব হচ্ছে। এটি চালু হলে মহাসড়কের স্থায়িত্ব বাড়বে, পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ উভয়ই উপকৃত হবেন।”
মুক্ত আলোচনায় ব্যবসায়ী ফয়জুল হক ফজল, নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, ও লিয়াকত আলীসহ স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে স্কেল স্থাপনের কারণে ব্যবসায়ীরা বাড়তি সমস্যায় পড়বেন। তারা প্রস্তাব দেন—টোল প্লাজাটি যেন ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা হয়, যাতে সকল ব্যবসায়ী কেন্দ্র সমভাবে আওতায় আসে এবং রাজস্ব আদায়ে ভারসাম্য থাকে।
প্রকৌশলী আমির হোসেন দাবিগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সালা উদ্দিন সোহাগ, সওজের অধস্তন কর্মকর্তাগণ, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন মিলন, সাংবাদিক হোসেন মিয়াসহ প্রমুখ।
প্রকৌশলী আমির হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, “সব পক্ষের সহযোগিতা পেলে আগামী ১০–১৫ দিনের মধ্যেই কোম্পানীগঞ্জ টোল প্লাজা ও লোড এক্সেল কন্ট্রোল স্টেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।”