সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দিঘীরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব সরদারের মাটি গ্রামে ফসলি জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাধা দেওয়ায় জমির মালিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিঘীরপাড় কিল্ডার গার্টেন নামের একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন পল্লী চিকিৎসক ছাদিকুর রহমান খাঁন, তিনি উপজেলার পূর্ব দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে। হাওর এলাকার জনমানবহীন স্থানে অবস্থিত স্কুলটিতে যাতায়াতের জন্য পূর্ব থেকেই দুটি সড়ক রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তবে সম্প্রতি ছাদিকুর রহমান নতুন করে আরেকটি সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেন, যা তৈরি করতে তিনি স্থানীয় বৃদ্ধ আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর মালিকানাধীন ফসলি জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আনোয়ারুল ইসলাম বাধা দিলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছাদিকুর রহমান একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, “ছাদিকুর রহমান প্রভাবশালী একটি দলের নাম ভাঙিয়ে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।”
তার ছেলে মাহতাব উদ্দিন বলেন, “আমাদের জমির পাশেই ঈদগাহ খালের পূর্বপাড় দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সড়ক রয়েছে। কিন্তু তা থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমপাড় দিয়ে আমাদের জমির ভেতর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে—যা সম্পূর্ণ অবৈধ।”
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, যেখানে স্কুলটি নির্মিত হয়েছে, সেখানে কোনো জনবসতি নেই এবং শিক্ষার উপযোগী পরিবেশও অনুপস্থিত। তারা প্রশাসনের কাছে এই অবৈধ সড়ক নির্মাণ ও হয়রানিমূলক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত ছাদিকুর রহমান খাঁন বলেন, “আমি স্কুলের স্বার্থে কিছু অভিযোগ দিয়েছি। তবে প্রশাসনই বিষয়টি দেখবে।” তবে কেন নতুন রাস্তা প্রয়োজন, যখন দুটি রাস্তা আগেই আছে—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি প্রথমে ফোন রিসিভ করলেও পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন ও বার্তা পাঠানো হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।