তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূর পায়ে লোহা বিঁধে বছর পাঁচেক পূর্বে, কিছুদিন যেতেই প্রাথমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় পঁচন ধরা শুরু। এদিকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ফলে এক কাটা বছর পেরুতেই ২ কাটা অবশেষে হাঁটুর নিচে তৃতীয় কাঁটায় ডাক্তারের শেষ চিকিৎসা ঢাকাস্হ এক হসপিটালে সম্পন্ন শেষে গৃহবধূর স্বাভাবিক চলাচলে কৃত্রিম পা সংযোজনের পরামর্শ দেন।
তিন সন্তানের জননী রহিমা(৪৫) এর স্বামী একসময় ছিলেন স্বচ্ছল। ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী সচল ছিলো বেচারাও ব্যবসা করে স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার নিয়ে ছিলেন সুখে শান্তিতে। সরকারী নির্দেশনায় পাথর কোয়ারী বন্ধ হলো একদিকে অন্যদিকে কয়েকবছর স্ত্রীর চিকিৎসা ব্যয় কৃত্রিম পা সংযোজনসহ কয়েক লক্ষ টাকা খরছ। সহায় সম্বল বাড়তি অর্থকড়ি গেলো কয়েক বছরে সিলেট টু ঢাকা অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে যাতায়াত অন্যদিকে ছেলেমেয়েদের ভরণ পোষণ, পড়াশুনায় এখন তিনি নিঃস্ব। জীবনের তাগিদে তিনি এখন ভোলাগঞ্জ স্হল বন্দরে একটি প্রতিষ্ঠানে মাসোহারা বেতনে কোনুমতে সংসার পরিচালনা করছেন।
প্রতিবেদকের সাথে এমনই এক দুঃখ কষ্টের কাহীনি বর্ণনা করেন উপজেলার ঢালারপার গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী (৫৩)। তিনি বলেন একসময়ে পরিজনদের নিয়ে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলাম কিন্তু স্ত্রীর চিকিৎসা ভার সামলাতে এখন থমকে গেছি।স্বাভাবিক চলাচলের জন্য স্ত্রীর কৃত্রিম পাঁ এখন দীর্ঘ তিনবছরে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। ফলে রোগীর সাংসারিক কাজ, প্রশ্রাব, পায়খানা, ব্যক্তিগত কাজ করতে পারছেননা অন্যের সাহায্য ছাড়া। দূর্বিসহ জীবনে ঘোর অমানিষায় জীবন অতিবাহিত আমার সহ-ধর্মীনির।
এ অবস্থায় ফের কৃত্রিম পাঁ সংযোজন করতে প্রায় ১,২০,০০০/ একলক্ষ বিশ হাজার টাকার প্রয়োজনে আমি দিশেহারা। তিনি দেশ বিদেশের বিত্তবান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মানবিক সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য।
সাহায্য প্রার্থী-মোঃ ইদ্রিস আলী, সাং ঢালারপার,পোঃ দয়ার বাজার, থানাঃ কোম্পানীগঞ্জ, জেলা সিলেট। মোবাইল /বিকাশ /নগদ (ওয়াটসপ/ইমো) 01743-041157.