 
    
    
 
        
        ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ফলাফল হতাশাজনক বলে জানা গেছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাসের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে, ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা।
উপজেলার শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজে অংশগ্রহণকারী ১৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৪৭ জন। পাসের হার মাত্র ৩১.৫৫ শতাংশ।
পাড়ুয়া আনোয়ারা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১১০ জনের মধ্যে পাস করেছে ১২ জন — পাসের হার ১০.৯ শতাংশ।
ভাটরাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৯৭ জনের মধ্যে পাস করেছে ২৭ জন, পাসের হার ২৭.৮৩ শতাংশ।
টুকেরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ২০ জন, যা ২৩.৫২ শতাংশ।
উপজেলার একমাত্র আলিম মাদ্রাসা — কাঁঠালবাড়ি চৌমুহনী বাজার আলিম মাদ্রাসায় ১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন পাস করেছে, পাসের হার ৪৪.৪৪ শতাংশ।
তবে হতাশার মাঝে আশার আলো দেখিয়েছে ইমরান আহমেদ কারিগরি কলেজ। প্রতিষ্ঠানটিতে ৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৪ জন পাস করেছে, যা ৮৪.২১ শতাংশ। ফলে বরাবরের মতো এবারও উপজেলায় সর্বোচ্চ পাসের হার ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের মতে, করোনাপরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অনিয়মিত উপস্থিতি, দক্ষ শিক্ষক সংকট, সময়মতো পাঠদান না হওয়া এবং প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষণ পদ্ধতির অভাবই ফলাফল খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “ফলাফল আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। আমরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ফলাফল বিশ্লেষণ করছি। দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করে তাদের শিক্ষাদানের মানোন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
স্থানীয় অভিভাবক মহল মনে করছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রস্তুতির ঘাটতি দূর না হলে ভবিষ্যতেও ফলাফলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না।