সিলেটের খাদিমনগর চা-বাগানের সবুজ টিলার বুক চিরে যখন বে-আইনিভাবে জমি দখল করে অবৈধভাবে প্লটিং করে বিক্রি করছেন বাগানের ব্যবস্থাপক ও তার সহযোগীরা।
এমন অভিযোগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খুশনুর রুবাইয়াতের নেতৃত্বে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় চা-বাগানের টিলায় অবৈধভাবে নির্মিত বেশ কয়েকটি টিনের ঘর ও স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, সিলেটের খাদিমনগর চা-বাগানের সবুজ টিলায় বাগান ব্যবস্থাপক ও তার সহযোগীদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় সরকারি জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এক সময়ের নিসর্গঘেরা চা-বাগানের ভূমি যেন পরিণত হচ্ছিল এক অঘোষিত আবাসিক এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বাগানের টিলায় প্লট কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বাগানের বর্তমান ব্যবস্থাপকসহ একাধিক ব্যক্তি জড়িত বলে তারা দাবি করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব কর্মকাণ্ড বাগান কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতসারেই চলছে। এই ধরনের জমি দখল ও বিক্রি নিয়ে তারা বহুবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খুশনুর রুবাইয়া বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সরকারি জমিতে অবৈধভাবে বাড়িঘর নির্মাণ ও টিলা কাটা হচ্ছিল। ইতোমধ্যে কিছু জমি উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘অভিযানের সময় বাগানের ব্যবস্থাপককে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হলেও তিনি সহযোগিতা করেননি। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে এবং পুলিশের তদন্তে যেসব তথ্য উঠে আসবে, তার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’