সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার নির্জন হাওরে গভীর রাতে আকরাম হোসেন (১৭) নামে এক অটো রিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রাজাপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের উড়ার বিল সংলগ্ন পাকা রাস্তার পূর্ব পাশে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, স্থানীয় অটোরিকশা ড্রাইভার আলাউদ্দিন ও সুলেমান ওই মুহুর্তে সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে ধানের জমিতে আশংকাজনক অবস্থায় আহত আকরাম হোসেনের চিৎকার শুনতে পান। এসময় সে তার গাড়ি থামিয়ে গলাকাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে জামালগঞ্জ থানায় জানান। পরে থানা থেকে এসআই আলমগীর তাৎক্ষণিকভাবে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ওই সময়ের মধ্যে আকরাম হোসেনকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন ড্রাইভার আলাউদ্দিন ও সুলেমান। পরে পুলিশ হাসপাতালে এসে আহত আকরাম হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক দেখতে পান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন।
পুলিশ আরো জানায়, আশংকাজনক অবস্থায় আকরাম হোসেনের কাছ থেকে তার চাচা আঃ কাদিরের নাম্বার নিয়ে ফোন করলে তিনি রাতেই এসে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আহত অবস্থায় আকরাম হোসেনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরে রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যালে চিকিৎসকধীন অবস্থায় আকরাম হোসেনের মৃত্যু হয়।
নিহত আকরাম হোসেনের চাচা আঃ কাদির জানান, আমার ভাতিজা আকরাম হোসেন সুনামগঞ্জের মোহাম্মদপুরের কুতুবপুর নামক এলাকায় তার বাবা মা ভাইবোন সহ একটি ভাড়া বাসায় থেকে অটো রিকশা চালাতেন। নিহত আকরাম হোসেনের বাবার নাম মো. রফিকুল ইসলাম। তাদের গ্রামের বাড়ি দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামে।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাহেদুল আলম ভূঁইয়া জানান, শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে কয়েকজন ছেলে আশংকাজনক অবস্থায় আকরাম হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রোগীর অবস্থা অত্যধিক খারাপ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট প্রেরণ করা হয়। তবে তার গলা ও হাতে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ. ম কামাল হোসেইন বলেন, জখমী অবস্থায় আকরাম হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছে আজ (রবিবার) রাত সাড়ে আটটায় তার জানাজা হবে। জানাজার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবং আমরাও বিভিন্ন ভাবে দোষীদের শনাক্ত করার জন্য অনুসন্ধান চালিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।