ব্যাটিং ব্যর্থতা; শব্দটি এখন যেন বাংলাদেশ দলের নিত্যসঙ্গী। টি–টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে ৩–০ ব্যবধানে হারালেও জাকের আলীর দলের বাজে ব্যাটিং রীতিমতো হতাশ করেছে ভক্তদের। সংস্করণ বদলে আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিং দুর্দশা থেকে বের হতে পারছে না তারা।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পুঁজি ২২১ রান। নির্ধারিত ওভার শেষ করতে পারেনি তারা। ৭ বল থাকতেই অলআউট হয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে যেকোনো বিচারেই এটা মামুলি পুঁজি। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। শুরুর সে ধাক্কা সামলে আর হাশমতউল্লাহ শাহিদির দলের সামনে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করাতে পারেনি দলটি।
বাংলাদেশের হয়ে ফিফটি করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয়। ৬০ রান করার পথে ৮৭ বল খেলেন মিরাজ। স্ট্রাইকরেট ৬৮। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। এজন্য ৮৫ বল খেলেন এই মিডলঅর্ডার। ক্রিজে টিকে যাওয়া এই দুই ব্যাটারকেই রশিদ খান, খারোতি, আজমতউল্লাদের সামলাতে বেগ পোহাতে হয়েছে। দেখে মনে হয়েছে প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের আশার বাতি হয়ে উঠেছেন সাইফ হাসান। টি–টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পুরস্কারস্বরূপ আজ ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তাঁর। অভিষেক ম্যাচেও দারুণ ইনিংসের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু অতি আভিজাত্যে সাইফের সম্ভাবনাময় ইনিংস থামে ২৬ রানে। খারোতিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে রশিদের হাতে ধরা পড়েন এই ব্যাটার। শেষদিকে ১৭ রান এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। এছাড়া একটি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে ১১ রান করেন তানভীর ইসলাম। সেখানে শান্ত, জাকের, তানজিদ, সোহানদের মতো স্বীকৃত ব্যাটারদের ব্যর্থতার যেন হতাশাই দীর্ঘ করছে বাংলাদেশের। আরও একবার দলটির ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে বল হাতে আফগানিস্তানের হয়ে সবচেয়ে সফল আজমতউল্লাহ ও রশিদ। দুজনই নেন তিনটি করে উইকেট। এছাড়া গজনফারের শিকার ২ উইকেট।