পরপর দুই ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষার। সিঙ্গাপুরকে ৪-১ গোলে হারিয়ে আফসোসটা যেন বাড়িয়ে দিলেন মোরসালিন-ফাহামিদুলরা। সান্ত্বনার জয় পাওয়ার স্বস্তি নিয়ে শেষ করল বাংলাদেশ।
অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এই জয়টি এসেছে ৬ বছর পর। সবশেষ ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার মূলপর্বে খেলার স্বপ্ন নিয়ে ভিয়েতনাম গেলেও প্রথম দুই ম্যাচে হারই পরিণতি দেখিয়ে দিয়েছে।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারানোর কিছু নেই ভেবেই খেলতে নামে বাংলাদেশ। ভিয়েত ত্রি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে দারুণ খেললেও মেলেনি গোলের দেখা। বিরতির পর ৭০ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন বদলি হিসেবে নামা ফাহামিদুল ইসলাম। ইতালি প্রবাসী এই উইঙ্গার মোরসালিনের পাস থেকে দূরপাল্লার শটে পরাস্ত করেন সিঙ্গাপুর গোলরক্ষককে। দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হয় আল আমিনের গোলে। জাহিদ হাসান শান্তর লং পাসে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিক দিয়ে ছুটতে থাকেন আল আমিন। কোনাকুনি শটে সহজেই খুঁজে নেন জাল।
৮০ মিনিটে তৃতীয় গোলটি আসে মহসিন আহমেদের পা থেকে। ৮৩ একক নৈপুণ্যে জাদু দেখান মোরসালিন। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে দুই ফুটবলারকে কাটিয়ে জোরালো শটে গোল করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেই গোল তাঁকে এনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো ‘সিউ’ উদ্যাপন করার সুযোগ। পরে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে এক গোল শোধ দেয় সিঙ্গাপুর।
বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট শেষ করেছে ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের তৃতীয় হয়ে। আজ জেতার পাশাপাশি গোল করেও খুব একটা সন্তুষ্ট নন ফাহামিদুল। তিনি বলেন, ‘ভালো লাগছে, তবে আমি খুশি নই, কারণ আমরা কোয়ালিফাই করতে পারিনি। এটা আমাদের দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এই দলের সেটা (মূল পর্বে খেলা) প্রাপ্য ছিল। আমরা সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি। এই দল ৪০ দিন আগে থেকে অনুশীলন শুরু করেছে, তাই জয়টা প্রাপ্য ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমরা কোয়ালিফাই করতে পারিনি, তবে এটা খেলারই অংশ, তাই ইনশাআল্লাহ পরের বার হবে।’
মূল পর্বে না উঠতে পেরে প্রথম ম্যাচের হারকে দুষছেন ফাহামিদুল, ‘প্রথম ম্যাচে আমাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। তাই ভিয়েতনামের বিপক্ষে আমাদের ভুগতে হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়েমেনের বিপক্ষে জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমরা পাইনি। আর এই ম্যাচে আমরা দেখিয়েছি যে আমরা উন্নতি করেছি।’