শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেও পারল না বাংলাদেশ ‘এ’। মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মেলবোর্ন স্টারস একাডেমির কাছে ৩ উইকেটের হারে কার্যত থেমে গেল তাদের টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি অভিযান। এই হারের সঙ্গে সেমিফাইনালের স্বপ্নও একপ্রকার শেষ হয়ে গেল সোহানদের।
ডারউইনের ডিএক্সসি এরেনায় জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ ‘এ’। টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে মেলবোর্ন স্টারস একাডেমির কাছে নুরুল হাসান সোহানের দল হেরেছে ৩ উইকেটে। এই হারের ফলে সেমিফাইনালে ওঠা এখন কঠিন সমীকরণের ওপর নির্ভর করছে।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে শেষ ওভারে ৪ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে মেলবোর্ন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ ‘এ’। পঞ্চাশের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম (১৯), জিসান আলম (১৩) ও আফিফ হোসেন ধ্রুব (০)। চাপের মুহূর্তে দলকে সামলে নেন সাইফ হাসান ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। দুজন মিলে ৫০ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে ফেরান দলকে।
ফিফটির কাছাকাছি পৌঁছেও থেমে যান সাইফ, ৩৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। সোহান করেন ২৭ বলে ৩৩ রান, যাতে ছিল ৪টি চার। শেষ দিকে ঝড় তোলেন অভিজ্ঞ ইয়াসির আলী। মাত্র ১৭ বলে ২৯ রান করেন তিনি, ২টি চার ও ২টি ছক্কায়।
মেলবোর্নের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন হ্যামিশ ম্যাকেঞ্জি। লেগস্পিনে ২১ রানে নেন ৩ উইকেট।
১৫৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে মেলবোর্ন। ১২ ওভারে মাত্র ৮১ রান তুলতেই হারায় ৫ উইকেট। রকিবুল হাসান ও হাসান মাহমুদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তখনো ম্যাচের পাল্লা ভারী ছিল বাংলাদেশের দিকে।
কিন্তু সেই জায়গা থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন জন মার্লো। চোট নিয়ে খেলতে নেমেও পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে এসে একাই দলকে জেতান তিনি। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৩৮ বলে খেলেন ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ওপেনার স্যাম হার্পার যোগ করেন ১৮ বলে ২৯ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে রকিবুল ও হাসান মাহমুদ নেন ২টি করে উইকেট।
টুর্নামেন্টে এটি বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচে তৃতীয় পরাজয়। মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার আশা এখন অনেকটাই ক্ষীণ। শুধু শেষ ম্যাচ জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের দিকে। প্রয়োজনে নেট রান রেটের জটিল হিসেবও যেতে পারে পক্ষে।
অথচ মেলবোর্নকে হারাতে পারলেই সব সমীকরণ সহজ হয়ে যেত সোহানদের জন্য। লড়াই করেও তাই শেষ হাসি হাসতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’।