নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ৭৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান শাহীন। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দল, পাকিস্তানের দ্বিতীয় সারির দলটির বিপক্ষে লড়াইও করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ‘এ’ দল ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৭ রানের পাহাড় গড়ে।
ব্যাট করতে নেমে ওপেনার খাজা নাফায় ও ইয়াসির খান দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন। দু’জনের উদ্বোধনী জুটি ১১২ রান তুলে দেয় মাত্র ১০ ওভারে। নাফায় ৩১ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রান করে হাসান মাহমুদের থ্রোতে রান আউট হন। ইয়াসির খানও ছিলেন সমান বিধ্বংসী—৪০ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৬২ রান।
মিডল অর্ডারে মাত্র ২৭ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন আব্দুল সামাদ। অধিনায়ক ইরফান খান নিয়াজিও খেলেন ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বোলাররা চাপে ভুগেছেন পুরো ইনিংস জুড়ে। হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ১ উইকেট, রাকিবুল হাসান ৪৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি ৩ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে একটি উইকেট পেলেও ব্যয়বহুল ছিলেন। সাইফ হাসানের করা একমাত্র ওভারেই আসে ২৬ রান।
জয়ের জন্য ২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৪ বলে ৫ রান করে ফিরে যান নাঈম শেখ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান ও জিসান আলম। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তোলে টাইগাররা।
কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষেই খেই হারায় জিসান। ৫ চার ও এক ছক্কায় ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন জিসান। জিসানের বিদায়ে ভেঙে যায় ৮৬ রানের জুটি। দ্রুত আউট হন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন সাইফ।
অধিনায়ক নুরুল হাসান করেন ১৬ বলে ২২ রান। শেষের দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৬), মাহফুজুর রহমান রাব্বি (৩), মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি (২) কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬.৫ ওভারেই সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ ইনিংস।
পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ মাসুদ ও আকরাম। এছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন ওয়াসিম জুনিয়র।