ব্রাজিল জাতীয় দলে ফেরার ইঙ্গিত এবার ভালোভাবেই দিলেন নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে প্রায় দুই বছর না খেললেও নিজেকে আবারও আলোচনায় নিয়ে এলেন সান্তোসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে।
ব্রাজিলের ঘরোয়া লিগ ব্রাসিলেয়ারোয় জুভেন্তুদের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে জোড়া গোল করে শুধু দলের জয়ই নিশ্চিত করেননি, ম্যাচশেষে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তির কোচিং স্টাফকে ‘আমার কিছু প্রমাণ করার নেই।
ম্যাচের পর সাংবাদিকদের নেইমার বলেন, ‘আমি সুস্থ, খেলছি, ফিট আছি। বাকিটা তাদের ওপর। আমি দলে ফিরতে প্রস্তুত। উল্লেখ্য, এই ম্যাচ দেখতে মোরুম্বি স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ব্রাজিল দলের প্রশিক্ষণ পরিচালক রদ্রিগো কায়েতানোসহ জাতীয় দলের প্রতিনিধিরা।
২০২৩ সালে ভয়ানক চোটে পড়ার পর জাতীয় দলে আর খেলা হয়নি নেইমারের। বাঁ পায়ের ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট ও মেনিসকাস ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে। সেই দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর এই ম্যাচেই নেইমার দেখিয়ে দিলেন, পুরনো মেজাজে ফিরছেন তিনি।
আগামী সেপ্টেম্বরেই রয়েছে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ দুটি ম্যাচ তারিখে ঘরের মাঠে চিলি এবং ৯ তারিখে উচ্চতাভিত্তিক বলিভিয়ার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ। যদিও ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে ব্রাজিল, তবে দল গঠনের আগে এই ম্যাচ দুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আনচেলত্তির জন্য। নেইমার বুঝতেই পারছেন, এখনই নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার সেরা সময়।
ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নেইমার বলেন, আবার জিততে পেরে ভালো লাগছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের উন্নতি চালিয়ে যেতে হবে।
সান্তোস বর্তমানে ১৫ নম্বরে, অবনমন অঞ্চল থেকে মাত্র তিন পয়েন্ট দূরে। দল নিয়ে নেইমার বলেন, চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু থেকেই আমরা বড় কিছুর স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু আমাদের ভুলেই এখন ভুগতে হচ্ছে।
শেষে নিজের প্রত্যাবর্তনের বার্তা দিয়ে বললেন, সবাই জানে আমার মান, আমার কিছy প্রমাণ করার নেই।
এই ম্যাচ আর নেইমারের মন্তব্য কেবল তার ফর্মই নয়, বরং জাতীয় দলে ফেরার জোর দাবি হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। আনচেলত্তি কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়। তবে নেইমার জানিয়ে দিয়েছেন—তিনি প্রস্তুত, মনেও বিশ্বাস রাখেন, আর মাঠেই দিচ্ছেন জবাব।।