টেস্ট সিরিজে পারেনি। টি-টোয়েন্টিতে আশা দেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটাতেও ভাঙেনি হারের বৃত্ত। টেস্টে তিন ম্যাচ হারের পর কুড়ি কুড়ির পাঁচটি ম্যাচও জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাতে অবশ্য রেকর্ড হয়নি। কোনো সফরে এরচেয়ে বেশি জয় আছে ভারতের।
পাঁচ টি-টোয়েন্টির চারটি আগেই হেরেছিল। ব্রিসবেনে মঙ্গলবার ক্যারিবিয়ানদের ছিল ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াই। সেটিতেও ছন্নছাড়া স্বাগতিকরা। ওয়ার্নার পার্কে ১৭০ রান নিয়ে লড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটি তিন উইকেট ও ১৮ বল হাতে রেখেই টপকে যায় অস্ট্রেলিয়া। টেস্টের তিন ও টি-টোয়েন্টির পাঁচ, অর্থাৎ ৮-০ ব্যবধানে সফর নিজেদের করেছে সফরকারী দল।
ব্রিসবেনে আগের ম্যাচে দাপট দেখানো ক্যারিবিয়ানরা মিইয়ে পড়েন। আসা যাওয়ার মাঝে শিমরোন হেটমায়ারের ৩১ বলে ৫২ রানে চেপে দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস আসে। লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়। তবে মিডলের দৃঢ়তায় উতরে যায় মিচেল মার্শের দল।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে ক্যারিবিয়ানদের হারাতে পারবেন, বিশ্বাস ছিল না অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের। তবে এমন অর্জনে দারুণ খুশি মার্শ, ‘সিরিজ শুরুর সময় ৫-০ ব্যবধানে জয়ের প্রত্যাশা করিনি। তবে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছি। আমরা জানতাম, এর আগে কোনো অস্ট্রেলিয়ান দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে একেবারে ক্লিন সুইপ করতে পারেনি। আমাদের অনেক খেলোয়াড় এসেছে এবং বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেছে। আমরা সিরিজ শুরুর আগেই দল হিসেবে নমনীয়তা ও পরিবর্তনের ব্যাপারে কথা বলেছিলাম।’
ব্যাটারদের পাশাপাশি সিরিজটি জোসেফদেরও ভালো যায়নি। সংগৃহীত ছবি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ দায় চাপিয়েছেন ব্যাটারদের ওপর, ‘আমরা পুরো সিরিজে কখনোই নিখুঁত ব্যাটিং পারফরম্যান্স দিতে পারিনি। কখনো শুরুটা ভালো হয়েছে, কিন্তু শেষটা খারাপ। অথবা উল্টোটা। এত ভালো একটি দলের বিপক্ষে এমন করলে পার পাওয়া যায় না। আর বল হাতে আমরা নিজেদের কোনো সুযোগই দিতে পারিনি। কারণ রানই ছিল না বোর্ডে।’
সফরে হারের মুখ না দেখে সবচেয়ে বেশি জয় পাওয়ার তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার আছে শীর্ষ দুইয়ে। এক সফরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড ভারতের। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে তারা সব সংস্করণ মিলিয়ে স্বাগতিকদের হারিয়েছিল সব মিলিয়ে ৯-০ তে। অস্ট্রেলিয়া ক্যারিবিয়ানদের ক্লিন সুইপ করেছে ৮-০ ব্যবধানে।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট