রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
খেলাধুলা

৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেবেন দুই বাংলাদেশি সাঁতারু

৬৭ বছর আগে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন ব্রজেন দাস। শুধু একবার নয়, ছয়বার তা অতিক্রম করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান কিংবদন্তি এই সাঁতারু। তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেন আব্দুল মালেক ও মোশাররফ হোসেনও। কিন্তু এরপর কেটে গেছে ৩৭ বছর।

সেই খরা কাটাতে চান বাংলাদেশের দুই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে আগামী ৭ জুলাই যুক্তরাজ্যে যাবেন তাঁরা। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিভক্ত করা আটলান্টিক মহাসাগরে এই চ্যানেল অতিক্রম করতে তাঁদের সঙ্গ দেবেন ভারতের আরও দুই সাঁতারু। চারজন মিলে যুক্তরাজ্যের ডোভারে শেক্‌সপিয়ার বিচ থেকে শুরু করে সাঁতার শেষ করবেন প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে ফ্রান্সের কাপ গ্রিস নিজ বিচে।

গতকাল বয়সভিত্তিক সাঁতারু প্রতিযোগিতার সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন হিমেল। ইংলিশ চ্যানেলের জন্য কতটা প্রস্তুতি নিতে হয়েছে এবং এর পেছনের গল্পটাও বললেন কিশোরগঞ্জের এই সাঁতারু, ‘প্রায় ৩৭ বছর পর ব্রজেন দাস স্যার এবং মোশাররফ হোসেন স্যারের পর আমরা দুজন বাংলাদেশি যাচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটা একটা ব্রেক-থ্রু। এটা গর্বের বিষয়। এবং আশা করি এখন যে প্রজন্ম আছে তারাও আমাদের থেকে অনুপ্রেরণা পাক।’

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে প্রচুর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে পানি ঠান্ডা থাকে অনেক। এ ছাড়া জাহাজ চলাচলের রাস্তাও সেটি। যেকোনো মুহূর্তে আক্রমণ করতে পারে জেলিফিশ। হিমেল বলেন, ‘ওখানে জেলি ফিশ আছে। পানির তাপমাত্রা সেখানে ১৫ থেকে ১৯ ডিগ্রি। তবে আমি চীনে ১৯ ডিগ্রিতে সাঁতার কেটেছি। খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তবে ১৫ ডিগ্রি হলে চ্যালেঞ্জিং থাকবে।’

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে একজন সাঁতারুর প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে পা রাখার পর ১০ দিন প্রস্তুতি নেবেন তাঁরা। তবে ১৭ থেকে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে যেকোনো চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে সাগরে নামবেন। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মোট ছয়বার চ্যানেলটি অতিক্রম করেন ব্রজেন দাস। প্রথমবার তাঁর সময় লেগেছিলে ১০ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। এরপর ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক ও ১৯৮৭ সালে মোশাররফ হোসেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।

এই সম্পর্কিত আরো