ক্রীড়া মোদীদের মনে দাঁনা বাঁধছে ক্ষোভ। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
কাওছার আহমেদ রাসেল:ফুটবল খেলা চলাকালীন মাঠে এক যুবক দৌড়ে এসে রেফারীকে ফ্লাইং কিক মারার একটি ভিডিও ক্লিপ গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছে।ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহষ্পতিবার বানিয়াচং জুয়েল মাঠে তারুন্য ক্লাব বনাম জুয়েল ক্লাব এর মধ্যকার সেমি ফাইনাল খেলা চলাকালীন সময়ে।
এ ঘটনায় শহীদুল ইসলাম কে প্রধান আসামী করে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় আজ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সফিক আলী।অভিযুক্ত শহীদুল সদরের খন্দকার মহল্লার মতিউর রহমানের ছেলে।
জুয়েল ক্লাবের তত্তাবধানে আমীরখানী-চানপাড়া পাঁচ মহল্লা কতৃক আয়োজিত ২য় সেমি ফাইনাল খেলা ছিলো গতকাল।দর্শক টুইটুম্বুর মাঠে উত্তেজনা পূর্ণ খেলায় একটি গোলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাইড রেফারী সফিক আলী।প্রথমার্ধের ১৯ মিনিটের খেলায় সাইড বার থেকে ইশরাতের এগিয়ে দেয়া ক্রসে বিদেশী খেলোয়ার আব্দুল্লাহ ২য় গোল করেন ।গোলের বাঁশি বাজান রেফারী ফুরুক মিয়া।গোলটি বৈধতার ঘোষনা করেন সাইড রেফারী সফিক আলী।ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়,অফসাইড না দেয়ার কারনে এসময় সাইড রেফারী সফিক আলীকে মারতে মাঝ মাঠের দক্ষিন-পশ্চিম পাশ থেকে দৌড়ে তেড়ে আসেন যুবলীগ নেতা বুলবুল,ছাত্রদল নেতা ইজাজুল।পিছন থেকে ছাত্রদল নেতা শহীদুল দ্রুত গতিতে দৌড়ে এসে রেফারী সফিক মিয়াকে ফ্লাইং কিক মারেন।সাথে সাথে পন্ড হয়ে যায় খেলা।
ফুটবল খেলায় মাঠে রেফারীর উপর সন্ত্রাসী হামলার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
স্থানীয় সাংবাদিক এম এ রাজা এক পোষ্টে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেন, খেলার মাঠে এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই।
জুবায়ের খান নামে একজন লিখেন,রেফারী শফিক ভাইয়ের উপর আক্রমন কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা।
ফেরদৌস আহমেদ লিখেন,জেলা ক্রীড়াঙ্গনের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দদের তীব্র প্রতিবাদ জানানো উচিত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোবাশ্বির আহমদ মজনু বলেন,শহীদুল ছাত্রদলের কেউ না।জুলাই বিল্পবের পরে কারো ব্যক্তিগত পাল্লা ভারি করার সুযোগ নিয়েছে সে।যা বানিয়াচংবাসীর কাছে দৃশ্যমান।
খেলা আয়োজনকারী কমিটির সভাপতি ও বানিয়াচং থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মো:জাহির হোসাইন বলেন,মাঠে রেফারীর উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাই।কমিটির লোকজন সহ ছান্দবাসী বসে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব।
হবিগঞ্জ জেলার সিনিয়র ফুটবল রেফারী আব্দুল মতিন সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন,বানিয়াচং ঐতিহ্যবাহী গ্রাম।এই গ্রামে খেলার মাঠে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আশা করা যায়না।আমরা পুলিশ সুপার মহোদয় কে জানিয়েছি।এই সন্ত্রাসী হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
হবিগঞ্জ জেলা খেলোয়ার কল্যান সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন,এই সন্ত্রাসী হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।
হবিগঞ্জ ফুটবল রেফারী এসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন,যখন ঘটনা ঘটে তখন আমাদের পুলিশের টিআরসি পদে মৌখিক পরীক্ষা চলছিলো।আমি রাতে ঘটনা জানতে পারি।হবিগঞ্জ ফুটবল রেফারী এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে এই ঘটনা আমার জন্য বিব্রতকর।সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।আমি বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি।আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।