মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
খেলাধুলা

কানাডিয়ান ফুটবলার শমিত শোমকে বরণে সাজ সাজ রব

হামজার চৌধুরী প্রতিবেশী শমিত শোম। দুইজনের বাড়ির দুরত্ব ৪০ মিনিট। একজনের বাড়ির হবিগঞ্জের বাহুবল, আরেক জনের বাড়ি মৌলভী বাজারের শ্রীমঙ্গল। দুটি উপজেলার অবস্থান পাশাপশি। কানাডিয়ান ফুটবলার শমিত শোমকে নতুন রুপে বরনের জন্য শ্রীমঙ্গলের দক্ষিন উত্তর সুর গ্রামে সাজ সাজ রব পড়েছে। আবাল বৃদ্ধ, তরুণরা তাকে বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাথে রয়েছে পারিবারিক প্রস্তুতি। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে শ্রীমঙ্গলের সোমবাড়ির মধ্যে।শমিত শোম আগামী ৩ জুন বাংলাদেশে আসবেন। একরাত থাকবেন বাড়িতে এমন প্রস্তুতি চলছে। আনন্দের বন্যা বইছে শমিতের পরিবারে সবার মধ্যে।

 

গতকাল রাতে শমিতের বাড়িতে গিয়ে কথা বলি। সবার প্রস্তুতি শমিত শোমকে নতুন ভাবে বরণের জন্য। প্রতিদিন এলাকার তরুন সমাজ দল বদ্ধ ভাবে এসে খোঁজ নিচ্ছেন কোন দিন শমিত শোম আসবেন। শমিত শোমের কাকা মুক্তিযোদ্ধা মোহন লাল সোম প্রথমেই আমাদের বসিয়ে খুবই আদর করলেন। কথার শুরুতেই একটি সংশোধনী দিলেন, বিভিন্ন মিডিয়া ও সাংবাদিকরা তাঁর ভাতিজার নাম সামিত সোম লিখছেন, এটা সঠিক বানান নয় তাঁর নাম হবে শমিত শোম। তিনি বলেন আজকে শমিত ও তার বাবা মানস শোম এবং মা নন্দিনা শোমের সাথে আলাপ হয়েছে।  শমিত শোম একাই বাংলাদেশে আসছে। সে(শমিত) খুবই আগ্রহী কখন বাংলাদেশে আসবে।

আমি এদেশ স্বাধীনে প্রতিনিত্ব করেছি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে, আর আমার ভাতিজা জাতীয় জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিত্ব করবে এরচেয়ে আর কিছু গর্বের হতে পারে না। সেই আনন্দে এই বৃদ্ধ বয়সেও খেলা দেখতে তাঁর সাথে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকায় যাবো। তিনি আরও বলেন আগে শমিত আসলে নীরবে কাটিয়ে যেতো ছুটি, এবার সরব হয়ে উঠেছে আমার শোম বাড়ি। প্রতিদিন লোকজন দল বেঁধে এসে খবর নিচ্ছেন কোন দিন শমিত আসবে। বাজারে গেলে সবাই জিজ্ঞেস করছেন দাদা শমিতের খবর কি...!!! খুবই ভালো লাগছে। আমাদের পরিবারের সবাই আনন্দের সাথে অপেক্ষা করছি তার জন্য। ২০২২ সাথে এসে সে ১৫দিন ছিলো, এবার হয়তো ৪/৫দিন থাকবে কারণ কানাডার লিগে তার খেলা রয়েছে, সে বলছে কাকা অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে আবারও খেলা রয়েছে তখন বেশি দিন থাকতে পারবো।  তিনি বলেন শমিতরা এক ভাই এক বোন। শমিত একজন ইঞ্জিনিয়ার আর বোন ইস্পিতা শোম একজন ডাক্তার।  শমিতের পিসি ( ফুফু)পদ্মা শোম বলেন, আমার শমিত খুবই সাধারণ জীবন যাপন করে, দেখলে কখনও মনে হবে না সে একজন জাতীয় দলের কানাডিয়ান ফুটবলার ।

সে মাছে ভাতে বাঙালি মতো চলা। কানাডায় তার খেলা দেখেছি এবার ঢাকায় যাবো। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমার বাবার ফুটবল খেলাকে পেয়েছে। আমার বাবা মানিক শোম ছিলেন সিলেটের সেরা খেলোয়াড় এবং একজন শিক্ষক। তাকে যখন কানাডার ফুটবল ফেডারেশন জিজ্ঞেস করে তুই খেলা শিখলে কোথায় তখন বলেছে ছোট কালে দাদার কাছে শিখেছি।

শমিত শোমের জেটি শুক্লা শোম বলেন শতিতের খাবারে তালিকায় প্রতিবারের মতো এবারও দেশি মুরগি থাকবে এটা খুবই প্রিয়। এছাড়া ডাল ভাত ও দেশি পিঠা করবেন। তিনি বলেন প্রতিদিন বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আসছে এটা আমার খুবই ভালো লাগছে। আমাদের শোম পরিবারের সবাই তার সাথে ঢাকায় যাবো। এভাবে তার পরিবারের সবাই খুবই  আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ করেন। শমিত শোমের চাচাতো ভাই সৌরভ প্রসাদ শোম বলেন, ভাইয়াকে বরণে আমাদের এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আমরা প্রতিদিন ভাইয়াকে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার আপডেট দেই।

এই সম্পর্কিত আরো