ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ পারফর্ম করে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে জায়গা পেয়েছিলেন নুরুল হাসান, কাঁধে উঠেছিল নেতৃত্বের ভারও। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবের ফর্মটা তিনি টেনে নিয়ে এসেছেন দেশের জার্সিতে।
আজ সিলেটে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ৫০ ওভারের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন নুরুল। তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন আরেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলামও। দুজনের সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৫ উইকেটে ৩৪৪ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে। যে সংগ্রহ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে ৮৭ রানের জয়।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে তিন ম্যাচের বেসরকারি ওয়ানডে সিরিজটি এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ‘এ’ দল আগের ম্যাচে জিতেছিল বোলিং দাপটে, কিউইদের মাত্র ১৪৭ রানে অলআউট করে। আজ নিজেদের সামর্থ্য তুলে ধরেছেন ব্যাটসম্যানেরা। টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ‘এ’ অবশ্য ১২ রানেই ওপেনার পারভেজ হোসেনকে (৮) হারিয়ে ফেলেছিল। এরপর এনামুল হক (৩৪ বলে ৩৯) ও মোহাম্মদ নাঈম (৪১ বলে ৪০) আশা দেখিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাঁরা দুজন ফিরে যাওয়ার পর জুটি বাঁধেন নুরুল ও মাহিদুল।
এগোতে এগোতে মিরাজ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডার
চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটিতে আসে ২২৫ রান, দুজনই পান তিন অঙ্কের দেখাও। তাতে অবশ্য ভাগ্যের সহায়ও আছে। ৮১ রানে থাকতে নুরুলের ক্যাচ ছাড়েন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্কসন, ৮৩ রানে থাকতে মাহিদুলের সহজ ক্যাচ ছাড়েন জো কার্টার। শেষ পর্যন্ত মাহিদুল ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৮ বলে ১০৫ আর নুরুল ১০১ বলে ৭ চার ও সমান ছক্কায় ১১২ রান করে আউট হন।
বড় রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান তোলার পর ধীরে ধীরে খেই হারাতে শুরু করে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। শেষ পর্যন্ত ৪৩.১ ওভারে ২৫৭ রানে থেমে যায় দলটি। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ বলে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন ওপেনার ডেল ফিলিপস। এ ছাড়া আর কেউ পঞ্চাশ পার করতে পারেননি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন, দুটি করে উইকেট শরীফুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম ও শামীম হোসেনের।
সিরিজের তৃতীয় বেসরকারি ওয়ানডে ১০ মে।