সেন্টারব্যাক আসাদুজ্জামান বাবলু লালকার্ড দেখায় ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল আবাহনী।
সুযোগ কাজে লাগিয়ে লিডও নিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস, পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে আবাহনী সমতা আনে। নির্ধারিত সময়ের খেলায় ১-১ সমতার পর ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানেও শুরুতে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু হাল না ছাড়া আবাহনী পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতল। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের জয়ে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে নাম লেখাল আবাহনী।
এ ম্যাচ হারলেও ফেডারেশন কাপ থেকে ছিটকে যায়নি বসুন্ধরা কিংস। গতকাল অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো এলিমিনেটরে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২-১ গোলে হারানো রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে খেলবে বসুন্ধরা কিংস। সে ম্যাচের বিজয়ী দল ফাইনালে আবাহনীর মোকাবেলা করবে।
কুমিল্লা স্টেডিয়ামে দুই হলুদকার্ডে ৪২ মিনিটে মার্চিং অর্ডার পান আসাদুজ্জামান বাবলু। প্রথমার্ধের খেলা ছিল গোলশূণ্য। বিরতির পরই ১০ জনের আবাহনীর বিপক্ষে লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার জোনাথন ফার্নান্দেসের ক্রসে আবাহনীর ডিফেন্ডারদের মন্থর গতির সুযোগ নিয়ে গোল করেন মজিবুর রহমান জনি। ৮৩ মিনিটে রাফায়েলের ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল জালে পাঠান বদলি হিসেবে নামা ফরোয়ার্ড আরমান ফয়সাল আকাশ।
অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকে আনিসুর রহমান জিকোকে মাঠে নামান বসুন্ধরা কিংস কোচ ভালেরিও তিতা। আবাহনীর জাফর ইকবালের স্পট-কিক রুখে দিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এ গোলরক্ষক। রাব্বি হোসেন রাহুলের শট রুখে দিয়ে টাইব্রেকারে আবাহনীকে রেসে রাখেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। পরে টুটুল হোসেন বাদশা বাইরে মারলে এগিয়ে যায় আকাশি-হলুদরা। মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্পট-কিক থেকে গোল করলে জয়ের আনন্দে ভাসে আবাহনী।