✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
খেলাধুলা

মিরপুরে বিদেশি শিকারই বেশি ভালো লাগে নাসুমের

মিরপুরের উইকেটে সব সময়ই স্পিনাররা মোটামুটি সহায়তা পেয়ে থাকেন। নাসুম আহমেদের জন্যও বিশেষ কিছু মিরপুর শেরেবাংলার উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই মাঠে ১৪ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার করেছেন এরই মধ্যে। বিপিএলেও এ মাঠে বেশ উজ্জ্বল এই বাঁহাতি স্পিনার। ৩৪ ম্যাচে ৭.০১ ইকোনমিতে শিকার করেছেন ২৮ উইকেট। আজ এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের দুর্দান্ত জয়ে বড় বড় শিকার ধরেছেন নাসুমই।

প্লে-অফের জন্য জেমস ভিন্স-টিম ডেভিডদের উড়িয়ে এনেছিল রংপুর। এর মধ্যে ইংলিশ ব্যাটার ভিন্সকে ৭ বলে ১ এবং অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ডেভিডকে ৯ বলে ৭ রানে ফিরিয়েছেন নাসুম। ৪ ওভারে মাত্র ১টি মেডেন ও ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা পুরস্কারও হাতে তুলেছেন নাসুম। ম্যাচশেষে নাসুম জানিয়েছেন, মিরপুরে বিদেশি শিকারই তাঁর বেশি ভালো লাগে।

সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েই মজার ছলে নাসুম বললেন, ‘আমাকে তো রিমান্ডে নেওয়া হবে!’ কথাগুলো নিছক রসিকতা হলেও রংপুরের ডানহাতি ব্যাটারদের ঘূর্ণি জাদুতে নাকাল করে ছেড়েছেন তিনি। মিরপুরে খেলা নিয়ে বললেন, ‘এই মাঠে বিদেশি ব্যাটারদের উইকেট নিতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ মিরাজ আমাকে টানা বোলিং করিয়েছে, কারণ ওদের দলে ডানহাতি ব্যাটার বেশি ছিল। এ কারণেই আমি এতটা বল করেছি।’

এর আগে টানা লম্বা স্পেলে বোলিং করতে দেখা যায়নি। সেই ব্যাখ্যায় বললেন, ‘অন্যান্য দলে ডানহাতি ও বাঁহাতি ব্যাটারের মিশ্রণ থাকে। ব্যাটিং লাইনআপ দেখে মিরাজ আমাকে কখন বোলিং করাবে, সেটা ঠিক করে। এটা আসলে পুরোপুরি দলের কৌশল।’

নাসুমের মতে, ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেই ছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন রংপুরের ব্যাটাররাই। এ বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘আমার কাছে উইকেট ১৮০ রানের মনে হয়েছে। আসলে ওরা হয়তো ব্যাটিংয়ে ছন্দ পায়নি। সৌম্যের রান আউট তাদের বড় ধাক্কা দিয়েছে। আমরা যদি টসে জিততাম, তাহলে ব্যাটিং নিতাম। কিন্তু যেটা হয়েছে, সেটাই আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।’

আজকের ম্যাচে খুলনার স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন নাসুম, ‘আসলে বিদেশিরা দলে সমর্থন দেয়। কিন্তু ম্যাচ জিততে হলে স্থানীয় ক্রিকেটারদেরই বড় ভূমিকা রাখতে হয়। আজ আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি, আর এর ফলেই দল জিতেছে।’

এই সম্পর্কিত আরো