হামজা চৌধুরীর খেলা দেখতে সুদূর ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসেছেন তাঁর মা রাফিয়া চৌধুরী। সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ তিনি শেয়ার করলেন, তাঁর ছেলে কী পছন্দ করেন।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারত। ম্যাচটি এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের অন্তর্গত। সুদূর ইংল্যান্ড থেকে ঢাকায় আসা হামজার মা রাফিয়া আজ ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। মায়ের হাতের কোন রান্না হামজা বেশি পছন্দ করেন—এই প্রশ্নের উত্তরে রাফিয়া মজা করেই বলেন, ‘তার তেমন কোনো প্রিয় খাবার নেই। সে তার মায়ের চেয়ে তার মায়ের রান্না বেশি পছন্দ করে।’
বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের পর এখন থেকে হামজা আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। করেছেন ৪ গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন একটি। বাইসাইকেল কিক, পেনাল্টি কিক, ফ্রি কিক, হেড—চারটা গোল করেছেন ভিন্ন চার ধরনে। যার মধ্যে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে হামজার বাইসাইকেল কিক নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। ছেলের খেলা নিয়ে রাফিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘মা হিসেবে সত্যিই অসাধারণ লাগে তার খেলা। ভাষায় প্রকাশ করার মতো কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না।তোমাদের যেমন লেগেছে (বাইসাইকেল কিক), আমারও সে রকম লেগেছে। এটা অসাধারণ একটা গোল ছিল। আমার খুব গর্ব হচ্ছে।’
এ বছরের মার্চে হামজা সুদূর ইংল্যান্ড থেকে দেশে এসেছিলেন। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রাম তখন উৎসবে পরিণত হয়েছিল। সাংবাদিকদের ক্যামেরার লেন্স যেন হামজার বাড়ির দিকেই তাক করা ছিল। ভক্ত-সমর্থকেরাও তাঁকে একনজর দেখতে উদ্গ্রীব ছিলেন। আট মাস আগের স্মৃতিচারণা করে আজ রাফিয়া সোনারগাঁও হোটেলে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যে সময় সে এসেছিল দেশে, খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম। যে ভালোবাসাটা পেয়েছে, সেটা অসাধারণ। সেটা খুবই অনুপ্রাণিত করে। সে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতিতে অনেক কিছু করতে চায়। ফুটবলে যাত্রাটা অনেক দীর্ঘ। সবেমাত্র শুরু হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ ভালো করবে।’
হামজার খেলা মাঠে বসে সব সময় দেখেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ বছরের মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা দেখেছিলেন রাফিয়া। সেই ম্যাচ দিয়েই হামজার বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল। এরপর জুনে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচে ছেলের খেলা ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে দেখেছিলেন রাফিয়া।