মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান মাঠে এ সমাবেশ হয়।
চা ছাত্র যুব সংঘের আয়োজিত সমাবেশে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু দলই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরী। সভাপতিত্ব ও চা শ্রমিক আপন বোনার্জী রুদ্র ও ভিম্পল সিংহ ভোলার যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি, আসাদুল্লাহ গালিব ও কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খাঁন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা কানু, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমিন সুলতানা প্রমুখ।
আয়োজিত চা শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বক্তব্যে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে তার বাপের বাড়ী টুঙ্গীপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের অন্য কোথাও তার চোখ পড়েনি। চা শিল্পেও শেখ পরিবারে ভাগ বসিয়েছে। তিনি আরো বলেন, চা বাগানে কোন মদের পাট্টা থাকা উচিৎ নয়, সেগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে চা শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড (এনটিসিএল)সহ সকল চা বাগান অবিলম্বে চালু করা, শ্রমিক ও চা শিল্প রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহন করা এবং মনুষ্যোচিত মজুরি,শিক্ষা স্বাস্থ্য বাসস্থান ও চাকুরী নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন দাবিতে চা শ্রমিকদের এই সমাবেশ হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ বলেন, জুলাই অভুত্থানের আকাঙ্খা পূরণে অর্থনৈতিক বৈষম্য, শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যচ্ছি। চা শ্রমিক জনগোষ্টী যুগ যুগ ধরে বৈষম্যের শিকার। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় অবাধ লুটপাট চা শিল্প ও শ্রমিককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। চা শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চাকুরীর নিশ্চিয়তাসহ সর্বোপরি চা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে।