জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে নভেম্বরে গণভোট চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (১৩ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে নিজেদের দাবির স্বপক্ষে নানান যুক্তি তুলে ধরে দলটি।
বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে এসে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই গণভোট (সংসদ নির্বাচনের) আগে চাচ্ছি। আমরা নভেম্বরে গণভোট করার জন্য বলে আসছি। আমাদের অতীতে অনেক গণভোট হয়েছে এবং সেখানে দেখা গেছে যে, ২১ দিনের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে, ১০ দিনেও হয়েছে, ১৭ দিনেও হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন করতে গিয়ে যদি ঝামেলা হয়ে যায়, তাহলে গণভোট আবার অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তো এই নির্বাচনে যদি ঝামেলা হয়, তাহলে আম ছালা দুটোই যাবে। এজন্য আমরা মনে করি, একটা সহজতর নির্বাচন (গণভোট), যাতে আমরা এখানে অভিজ্ঞতা নিতে পারি। এক্সপেরিমেন্ট নিতে পারে যে, কীভাবে পুলিশ সহযোগিতা করে।’
এই জামায়াত নেতার মতে, ‘যে বাক্স আপনি গণভোটের জন্য কিনবেন, ওই বাক্স দিয়েই গণভোট করা যাবে। শুধু খরচ বাড়তি হচ্ছে একটা ব্যালট ও কালি। এছাড়া যারা ইনভলভ হবেন, তাদের ভাড়া-টারা, খাওয়ার জন্য কিছু লাগবে। এর বাইরে তেমন কোন খরচ নাই।’
গণভোটের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির যোগ করেন, ‘ইসি আমাদের জানিয়েছে, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তারা এটা বাস্তবায়ন করবেন। সেখানে ইসির কোনো সমস্যা হবে না।’
আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, জসিম উদ্দিন সরকার ও মতিউর রহমান আকন্দ।
আর ইসির পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব।
প্রসঙ্গত, জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে দলগুলোর সম্মতি দিয়েছে। কিন্তু সেই গণভোট কবে হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের পক্ষে। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের কথা বলছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল।