ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভোটের দিন ভিলেন বানানোর অভিযোগ তুলেছেন শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা’র তৃতীয় সংলাপে এ অভিযোগ করেন তিনি।
আবিদ বলেন, কেউ আমাকে রাজনীতিতে নিয়ে যায়নি, আমিই রাজনীতি খুঁজে নিই। গেস্টরুমের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে ফেসবুক ঘেঁটে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়াই।
তিনি বলেন, ডাকসুর ভোটের দিন সকালে আমাকে ভিলেন বানানো হয় এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, ভোটের অসঙ্গতিগুলো আমরা পেয়েছি, সেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আগের রাজনৈতিক কালচারে না গিয়ে নতুন সংস্কৃতিতে এগিয়ে গেছি।
ডাকসু নির্বাচনে অসঙ্গতিগুলো নিয়ে প্রশাসন যদি যথাযথ জবাব দিতে পারে, তবে ২০২৫ সালের নির্বাচন নিয়েও পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আবিদ।
শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবিদ জানান, নির্বাচনী ইশতেহারে ১০ দফা দিয়েছিলাম। জয়-পরাজয় মুখ্য নয়, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমাদের কাজ চলমান থাকবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে হারেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। এরপর পরবর্তী ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ফেসবুক পোস্টে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানান তিনি।
পোস্টে আবিদুল লেখেন, সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসব, ইনশাআল্লাহ। এর প্রতিফলন আপনারা পরবর্তী ডাকসুতে দেখতে পাবেন। আবিদ আপনাদের কখনো ছেড়ে যাবে না।
তিনি লেখেন, ক্ষুদ্র জীবনে আমি এতদূর আসব কোনোদিন ভাবিনি। নির্বাচনের আগের রাতে খালেদ মুহিউদ্দিন ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাই? আমি কোনো সদুত্তর দিতে পারিনি। আসলে কখনোই জানতাম না নিজেকে কোথায় দেখতে হবে। একের পর এক আন্দোলন-সংগ্রাম এসেছে, নিজেকে রাজপথে সঁপে দিয়েছি। সেই পথই আজ আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।
তিনি জানান, নির্বাচনের দিন শুরু হয় মিডিয়ার অপপ্রচার দিয়ে। দুপুর থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে একের পর এক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও যথাযথ সিদ্ধান্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসবে বলে তিনি এখনো আশা করছেন।
আবিদ লেখেন, মানুষ হিসেবে আমরা কেউ পরিপূর্ণ নই। আমি জানি, আমি আপনাদের জন্য যথেষ্ট কাজ করতে পারিনি। সত্যি বলতে জীবন আমাকে সেই সুযোগটুকুও দেয়নি।