ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে আজাদী (মুক্তি) পেলেও আমরা এখন পর্যন্ত কালচারাল আজাদী পাই নাই। বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে আমাদের উপর ব্রাক্ষ্মবাদী কলকাতা ভিত্তিক সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, ব্রাক্ষ্মবাদী সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ইসলামের যে সিম্বল রয়েছে এবং ইসলামি সংস্কৃতিকে ক্রিমিনালাইজ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বটতলায় কোরআন তেলেওয়াতের আসর করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের শোকজ করে এবং তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। তিনি ঘোষণা দেন, যদি শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে তারা এই ট্যাগিং এবং ক্রিমিনালাইজ করার রাজনীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বন্ধ করে দিবেন। আমাদের শহীদেরা জীবন দিয়েছে কালচারালই আমাদের যে ঐতিহ্য ও স্বতন্ত্রতা রয়েছে সেটাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
সাবেক এই সমন্বয়ক বলেন, এই যে, কালচারালি আমরা এখনও মুক্তি পাই নাই। এর কারণ হচ্ছে, কালচারাল ফ্যাসিজম ও মুজিববাদের ছোঁয়া আমাদের সমাজে থেকে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জায়গায় বসে কালচারাল ফ্যাসিস্টরা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা যদি শিক্ষার্থীদের সমর্থন পেয়ে বিজয়ী হতে পারি তাহলে আমরা কালচারাল ফ্যাসিস্টদের কবর রচনা করব ইনশাআল্লাহ। আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ কালচার শহীদদের আকাঙ্ক্ষার আলোকে তুলে ধরতে চাই এবং সেই আলোকে আমরা গত এক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, আমরা এমন এক কালচার বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, চাকমা, মারমা, রাখাইনসহ সকল ধর্মের ও মতের মানুষ তাদের সংস্কৃতি ও ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারবে।
জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদ বলেন, ডাকসু নির্বাচন কমিশনে আমরা আমাদের ব্যানার ভাঙচুর ও হিজাবী নারীর ছবি বিকৃতি করে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। প্রশাসন দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করেছে। আমরা শঙ্কিত যে তারা এখনও কোন সমাধান করে নাই বা সমাধান করবে কি না তাও জানিনা। আজকে বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম রাত সাড়ে বারোটায় মুজিব হলে গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে। আচরণবিধি অনুযায়ী রাত এগারোটার পরে কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। কিন্তু প্রশাসন এই আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা নিরপেক্ষ ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে শঙ্কিত।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সদস্যরা।