আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি শাসন কাঠামোর গুণগত পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেটা হবে গণঅভ্যুত্থানকে হত্যা করার শামিল। শনিবার যুগান্তর আয়োজিত ‘সরকারের এক বছর : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
এই এনসিপি নেত্রী প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে এত প্রাণহানি, এত আত্মত্যাগ কি শুধুই একটা সংসদীয় নির্বাচনের জন্য। তিনি বরং রাষ্ট্রের শাসন কাঠামোতে গুণগত পরিবর্তনের নির্বাচন চেয়েছেন। সেটার জন্য নতুন সংবিধান প্রণয়নেরও বার্তা দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা সাফল্যের রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন সামান্তা শারমিন। তার ভাষায়, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার জন্য তারা অনেক কাজ করেছেন। তবে তাদের সফলতা এটুকুতেই সীমাবদ্ধ। রাজনৈতিক জায়গায়, মানুষকে আশা-আকাঙ্ক্ষা দেওয়ার জায়গায় তারা একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কোনোমতে নির্বাচন দিয়ে পার পাওয়াই যাদের লক্ষ্য তাদের কাছ থেকে আমি পুলিশ সংস্কার তো আশা করি না।’
সরকারের উপদেষ্টারা আদৌ জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করেন কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে এই এনসিপি নেত্রী বলেছেন, ‘জুলাইয়ের স্পিরিট সরকারের কারও বডি ল্যাংগুয়েজে নেই। আমরা জানতে চাই, কার সুপারিশে উপদেষ্টারা পদে বসেছেন, সেসব উন্মুক্ত করা হোক।’
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিবদের পদায়ন নিয়েও প্রশ্ন রেখেছেন সামান্তা শারমিন। তারা কার সুপারিশে দায়িত্ব পেয়েছেন সেসবও উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনো অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে বাকস্বাধীনতা বিঘ্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন এই এনসিপি নেত্রী। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা এখনো অনেক কিছু বলতে পারছি না।