মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
রাজনীতি

ফাঁসির রায়ে কষ্ট পেয়েছি: রাষ্ট্র নিযুক্ত হাসিনার আইনজীবী

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে কষ্ট পেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ নিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘মাননীয় ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছে, সেটি সম্মানের সঙ্গে মেনে নিয়েছি। তবে রায়টা আমার পক্ষে হয়নি, বিপক্ষে গেছে। এ জন্য আমি ক্ষুব্ধ। কষ্ট লালন করছি। আসামিদের ফাঁসির রায়ে আমি কষ্ট পেয়েছি।’

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আমির হোসেন।

আদেশে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় হয়েছে এটি বলা ঠিক হবে না, তাহলে ট্রাইব্যুনালকে দোষারোপ করা হবে। আমি সেটি বলছি না। আমি কষ্ট পেয়েছি। আইনের বিষয়ে অনেক কিছুই আছে। যদি কখনো আমার মক্কলেরা আপিল করতে পারেন, তখন আপিল বিভাগে অনেক বিষয় আসবে।’

শেখ হাসিনার পক্ষে যেসব যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছিল তা আদালত আমলে নিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, ‘আমার যুক্তিতর্ক নেননি তা তো বলব না। আমার যুক্তিতর্ক তো তাঁরা নিয়েছেন। অনেক কিছু তো নিয়েছেন। নেওয়ার পর মাননীয় ট্রাইব্যুনালের কাছে মনে হয়েছে, আমার যুক্তির চেয়েও তাঁদের যুক্তি আরও বেশি শক্তিশালী। সেটা মনে করে তাঁরা সেভাবে রায় দিয়েছেন। অতএব আমারটা নেননি, এটা আমি বলব না। আমি বলব, এই রায়ে আমি কষ্ট পাচ্ছি।’

আসামিপক্ষের আর কোনো সুযোগ রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, ‘আসামি যদি গ্রেপ্তার হন, অথবা তিনি আত্মসমর্পণ করেন, তারপর আইনি সুযোগ আছে। এ ছাড়া কোনো আইনি সুযোগ নেই।’

রায়ে আপনি একমত কি না—জবাবে আমির হোসেন বলেন, ‘আমি তো একমত বলিনি। আমি তো বলেছি, কষ্ট পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে রায় হয়েছে, তাতে আমার খারাপ লাগবে না? খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক কথা। আমি আসামিপক্ষে এত দিন মামলায় লড়েছি, তাতে আসামি খালাস পেলে যত ভালো লাগত, তা তো হয়নি। এতে তো আমার কষ্ট লাগবেই।’

রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, ‘এ প্রশ্নটাই ভুল প্রশ্ন। এটা নিয়ে উত্তর দিতে রাজি নই। এটা কাউকে বিভ্রান্ত করার প্রশ্ন। ভুল প্রশ্ন না করাই ভালো।’

এই সম্পর্কিত আরো