দেশের নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর বিদেশি অপারেটরদের কাছে হস্তান্তর করা হলে দেশ নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও সতর্কভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের বিঘাই হাট স্কুলসংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি অপারেটরের হাতে দেওয়ার আলোচনা চলছে। দেশের নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর যদি একে একে বিদেশিদের হাতে চলে যায়, তবে নিরাপত্তার প্রশ্ন থেকেই যায়। ড. ইউনূস সাহেবকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। শেখ হাসিনা যা করেছিলেন, সেই ভুল আর করা যাবে না।
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়েও তিনি তীব্র সমালোচনা করেন। রিজভীর দাবি, এই চুক্তি দেশের স্বার্থে নয়, বরং শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হয়েছিল। পৃথিবীর কোথাও এমন অস্বাভাবিক চুক্তি দেখা যায় না।
সমাবেশে তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম, পিআর কৌশল এবং গণভোটের আইনি ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ও অন্যান্য জনজীবন–সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।
এ সময় রিজভী জানান, পটুয়াখালীর বড়বিঘাই ইউনিয়নের বৃদ্ধ গনি মিয়ার পরিবার সাত দিন ধরে না খেয়ে আছেন— এমন সংবাদে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে এলে বিএনপির পরিবারের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে সহযোগিতা করা হয়েছে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমান, সদস্য সচিব মোখছেদুল মোমেন মিঠুন, সিনিয়র সদস্য মাসুদ রানা লিটন, সদস্য মুসতাকিম বিল্লাহ, সদস্য ফরহাদ আলী সজিব, সদস্য শাকিল আহমেদ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন হিমেল, বিএনপি নেতা সায়হাম সিকান্দার পাপ্পু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ, মাকসুদ আহমেদ বায়জিদ পান্না, অ্যাডভোকেট তৌফিক আলী খান কবির, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মরিচবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম ইভান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মাহাবুব আলমসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।