সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
রাজনীতি

ভেতরে-ভেতরে বিএনপির ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ আছে মনে হচ্ছে: তাহের

বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।

সেমিনারে মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপির ভেতরে-ভেতরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার একটা খায়েশ আছে মনে হচ্ছে, যে কারণে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের যে রাস্তা আমরা বন্ধ করতে চাইছিলাম, এগুলো তারা বন্ধ করতে দিচ্ছে না।’

আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘যখন এক ব্যক্তির হাতে অসীম ক্ষমতা থাকে, তখন ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়। আমরা তো সেটাই চেঞ্জ করে দিয়েছি, এ দেশের মানুষ তো সেটাই চায়। প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান একজন হইতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি একাধারে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হইতে পারবে না। এগুলো যদি অ্যামেন্ডমেন্ট হয়, তাহলে স্বৈরাচারী চরিত্র এবং স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগটা থাকে না। বিএনপি এই দুটোতেই নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিল।’

কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয় মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতরাং, সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।’

গণভোট কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের দিন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তাহের বলেন, ‘হাসিনা শহীদ-আহতদের জন্য ব্যথিত না হয়ে মেট্রোরেল ভাঙচুরের জন্য কান্নার নাটক করেছে। একইভাবে বিএনপির কাছে ২ হাজার শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি।’

তাহের যোগ করেন, তাঁরা দাবি করছে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে তিন হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। অথচ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ব্যতীত দেশ বারবার পথ হারাবে। শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার অঙ্ক কখনো দামি হতে পারে না। বিএনপিকে শহীদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নভেম্বরের গণভোট আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে জামায়াত নেতা বলেন, ‘আপনি অন্যায়ের কাছে অতীতেও মাথানত করেননি। আশা করছি, এখনো কারও কাছে মাথানত করবেন না। আপনার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। সুতরাং, আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস জিরো, আর বাস্তবায়ন হলে ড. ইউনূস হিরো।’

জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

এই সম্পর্কিত আরো