আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কম-বেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো আমরা গ্রিন সিগন্যাল দেব। সেই প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে। যাতে নির্বাচন মাঠে প্রার্থী হিসেবে তারা কাজ করতে পারে।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন তারেক রহমানের কল পেয়েছেন, তাঁদের প্রার্থিতা নিশ্চিত...এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিনরাতই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এটি নতুন কিছু নয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা হওয়াই স্বাভাবিক।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিয়ে জোট গঠিত হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরামের এই নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে যোগাযোগ আছে, তবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। জোটবদ্ধ হব কি না—তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
সরকারের দুজন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে—এমন খবরে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ওই দুই উপদেষ্টার বিষয়ে আমরা সরাসরি কিছু বলিনি। তাঁরা যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সরকার থেকে সরে আসা উচিত। তবে যদি তাঁরা নির্বাচনে না আসেন এবং কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা সরাসরি কাউকে পদত্যাগ করতে বলিনি। যাঁরা ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আছেন, তাঁরা যদি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ না দেন বা নির্বাচনে অংশ না নেন, তাহলে সেটি তখন বিবেচনা করা যাবে।’
নির্বাচনে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী যদি দলের বিপক্ষে গিয়ে দাঁড়ান, তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে বিএনপি—এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,‘ আশা করি কেউ দাঁড়াবে না। আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সিঙ্গেল (একক) প্রার্থী নির্ধারণ করতে পারব। তারপরও যদি কেউ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, তো শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য যে ব্যবস্থা আমরা নিয়ে থাকি, সাংগঠনিকভাবে তা-ই হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপির মনোনয়নে সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক যুবনেতা, বর্তমান ছাত্রনেতা, বর্তমান যুবনেতা, একটা অংশ থাকবে তারুণ্যের প্রতিনিধিত্বকারী অংশ হিসেবে। সেটা তাঁরা আগেও করেছেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় যাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেশি এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক যাঁর বেশি, নির্ধারিত এলাকায় যাঁর জনসমর্থন বেশি, পরিচিতি বেশি এবং মেধা জ্ঞানগরিমা আছে, সেসব বিবেচনায় নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করবে বিএনপি।