তিন দফায় অভিন্ন কর্মসূচি পালনের পর এবারে একসঙ্গে মাঠে নামছে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি দল। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা সহ পাঁচ দফা দাবিতে তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এসব দল।
রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে
সোমবার রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল; ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল।
পাঁচ দাবির মধ্যে আরো রয়েছে
আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
এসব দাবিতে চলমান আন্দোলনের চতুর্থ পর্বের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পর আমাদের আন্দোলনের কারণ হলো-জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইন জারি ও এ গণভোটের বিষয়টি এতে লিখিত নেই।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনটা হবে নিয়মতান্ত্রিক ও গঠনমুলক। সরকার, ঐকমত্য কমিশন এবং দেশবাসীকে আমাদের দাবির বিষয়ে ম্যাসেজ দিতে চাই।
গোলাম পরওয়ার বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিলে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। তবে জাতীয় নির্বাচনের দিন কোনভাবেই গণভোট দেয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা অভিন্ন কর্মসূচি পালনের পর সময়ের দাবি অনুযায়ী যৌথভাবে কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছি। তবে এটা নির্বাচনি কোন জোট নয়, জোট গঠনের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। সময় বলে দেবে আমরা কোন দিকে যাব।
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভলেপমেন্ট পার্টির জয়েন্ট সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তাজরির সহ সব দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।