ডিজিটাল তথ্যের নিরাপত্তা এবং নাগরিকের ব্যক্তিগত উপাত্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর ও কারিগরি কাঠামো তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বিশেষ সহকারী বলেন, তথ্যের অপব্যবহার ঠেকাতে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’, ‘জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘সাইবার সুরক্ষা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর মাধ্যমে একটি সমন্বিত সাইবার গভর্নেন্স কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, যা দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
রোববার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমরা দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা ও সাইবার গভর্নেন্স নিশ্চিত করতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছি। এই আইনগুলো কেবল প্রশাসনিক নয়, কারিগরি ও জ্ঞানভিত্তিক সুরক্ষারও ভিত্তি তৈরি করবে। ১৯৯৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৪টি দেশ যে তথ্য সুরক্ষা কাঠামো তৈরি করেছিল, সেটি বাস্তবায়নে আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। গত ২৫ বছরের সেই জ্ঞানগত ও নীতিগত ঘাটতি পেরিয়ে আমরা এখন নিজস্ব সক্ষমতায় একটি পূর্ণাঙ্গ সাইবার ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছি।
তিনি বলেন, নতুন অধ্যাদেশগুলোতে প্ল্যাটফর্ম দায়বদ্ধতা, তথ্যের মালিকানা ও সংরক্ষণে সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। আমরা এমন কাঠামো তৈরি করেছি যাতে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান- কেউই নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে। তথ্যের মালিকানা থাকবে নাগরিকের, আর সংরক্ষণে থাকবে সরকারি তত্ত্বাবধান।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আইনটি নিয়ে প্রশ্ন থাকলে আমাদের সঙ্গে কথা বলুন, যাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করুন। কারণ, এই আইন শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, বরং জাতীয় তথ্য নিরাপত্তার একটি সামগ্রিক রূপরেখা।