বহুল আলোচিত রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডারপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও মালপত্র বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সরকারের অন্যতম বড় বিদ্যুৎ প্রকল্পে এমন অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, এনফোর্সমেন্ট দলের খোঁজাখুঁজিতে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুন বাগেরহাটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট দল। সে সময় যন্ত্রপাতি লুটপাট, বাংলাদেশি ও ভারতীয় কর্মচারীদের মধ্যে বেতনবৈষম্য, কর মওকুফে অনিয়ম এবং কয়লা ক্রয়ে নয়ছয়সহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।
দুদকের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই অভিযানে একাধিক অনিয়মের ইঙ্গিত মেলে। পরে এসব তথ্যপ্রমাণ কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
২০১০ সালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৩ সালে বিআইএফপিসিএল ও বিপিডিবির মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দীর্ঘ প্রস্তুতির পর ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে।
উদ্বোধনের তিন বছরের মধ্যে এই প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক সূত্রটি।