সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
জাতীয়

হারুন, বিপ্লবসহ পলাতক ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কর্মস্থল থেকে পালানো ও বরখাস্ত হওয়া ৪০ কর্মকর্তার পুলিশের পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অসীম বীরত্ব, সাহসিকতা, এবং জনসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের জন্য দুটি প্রধান পদক দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)।

শনিবার (৯ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়স সহকারী সচিব তৌছিফ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

চাকরির পর পদক হারানো কর্মকর্তা ও তাদের পদকগুলো হলো- ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি বর্তমানে পলাতক সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি ২০১০ সালে পিপিএম, ২০১৩ সালে বিপিএম-সেবা ও ২০১৭ সালে বিপিএম-সেবা পদক অর্জন করেন। পাশাপাশি ২০১৮ সালে পুলিশ পদক অর্জন করেছিলেন। তার নামের পাশ থেকে সকল পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ডিবির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বর্তমানে পলাতক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের ২০১২ সালের পিপিএম-সেবা, ২০১৫ সালে বিপিএম-সেবা ও ২০১৬ সালে বিপিএম-সেবা এবং ২০১৮ সালে অর্জিত পুলিশ পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পলাতক ও ওএসডি হওয়া সাবেক ডিআইজি নুরে আলম মিনার ২০১৭ সালে বিপিএম, ২০১২ সালে পিপিএম-সেবা এবং ২০১৮ সালে অর্জিত পুলিশ পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বর্তমানে পলাতক ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া বিপ্লব কুমার সরকার ২০১৩ সালে পিপিএম-সেবা ও ২০১৫ সালে বিপিএম-সেবা, ডিএমপির আরেক যুগ্ম কমিশনার বর্তমানে পলাতক ও সাময়িক বরখাস্ত এস এম মেহেদী হাসানের ২০১১ সালে পিপিএম-সেবা, ২০১৩ সালে বিপিএম-সেবা ও ২০১৮ সালে বিপিএম-সেবা, ওএসডি হওয়া সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি ও বর্তমানে পলাতক সঞ্জিত কুমার রায়ের ২০২২ সালে পিপিএম-সেবা এবং ২০১৮ সালে অর্জিত পুলিশ পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ওএসডি হওয়া ডিআইজি বর্তমানে পলাতক মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের ২০১৪ সালে পিপিএম-সেবা ও ২০২৩ সালের বিপিএম সেবা এবং ২০১৮ সালে অর্জিত পুলিশ পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রাজশাহী রেঞ্জে সংযুক্ত অতিরিক্ত ডিআইজি বর্তমানে পলাতক শ্যামল কুমার মুখার্জী ২০১৯ সালের পিপিএম-সেবা, ওএসপি হওয়া পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত) ও পলাতক রিফাত রহমান শামীমের ২০২৩ সালের পিপিএম-সেবা এবং ২০১৮ সালে অর্জিত পুলিশ পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওএসডি হওয়া পুলিশ সুপার ও পলাতক কাজী আশরাফুল আজীমের ২০২৩ সালের পিপিএম-সেবা এবং ২০১৮ সালে অর্জিত পুলিশ পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি'র কার্যলয়ে সংযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদারের ২০১২ সালে বিপিএম-সেবা, ২০১৭ সালে পিপিএম ও ২০১৮ বিপিএম। বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত পলাতক ও সাময়িক বরখাস্ত সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ২০১৮ সালে বিপিএম-সেবা ও ২০২২ সালে পিপিএম-সেবা। বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত ও পলাতক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের ২০২৩ সালের বিপিএম ও ২০১৮ সালে পিপিএম-সেবা। বিশেষ পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারী অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি'র কার্যালয়ে সংযুক্ত ও পলাতক আয়েশা সিদ্দিকার ২০২১ সালের বিপিএম-সেবা ও ২০১২ সালে পিপিএম-সেবা।

রাজশাহীর সারদায় সংযুক্ত ও পলাতক পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামানের ২০১২ পিপিএম-সেবা, ২০০৮ সালের পিপিএম-সেবা, ২০২৩ বিপিএম-সেবা। চট্টগ্রামের রেঞ্জ ডিআইজি'র কার্যালয়ে সংযুক্ত পলাতক পুলিশ সুপার মোঃ শাহজামানের ২০১৫ সালের বিপিএম-সেবা। বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত পলাতক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ২০১৫ সালের বিপিএম-সেবা, ২০১২ সালের পিপিএম-সেবা ও ২০১৯ সালের পিপিএম সেবা। বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি'র কার্যালয়ে সংযুক্ত ও পলাতক পুলিশ সুপার মানস কুমার পোদ্দারের ২০০৯ ও ২০১১ সালে পিপিএম-সেবা। বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত পলাতক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল ২০২৩ সালে বিপিএম-সেবা, ২০১৭ সালে পিপিএম-সেবা ও ২০১১ সালে পিপিএম সেবা।

পদক হারানোর তালিকায় আরও আছেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত পলাতক আরিফুর রহমান মন্ডল, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত পলাতক পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন, খুলনা পিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান আরাফাত, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত পলাতক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরী. নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর হাছান, সুনামগঞ্জ ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান, সিলেট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত পলাতক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়রুল ইসলাম, র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশানুল হক সৈকত, জামালপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস, খাগড়াছড়ির এপিবিএনের বিশেষায়িতক ট্রেনিং সেন্টারের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম রুহানী, নৌপুলিশের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহাম্মেদ, সারদার পুলিশ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান, খাগড়াছড়ির এপিবিএনের বিশেষায়িতক ট্রেনিং সেন্টারের পরির্শক বিএম ফরমান আলী, বগুড়া জেলা পুলিশ হাসপাতালের পরিদর্শক নূর-এ-আলম, নেত্রকোনো ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের পরিদর্শক কাজী মাইনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের পরিদর্শক অপূর্ব হাসান, সারদার পরিদর্শক মো. শাহজাহান, চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পরির্দশক শেখ আমিনুল বাশার ও রংপুর ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত পরিদর্শক জাকির হোসেন।

প্রজ্ঞাপনে পদক প্রত্যাহার হওয়ায় তাদের আর্থিক সুবিধা বন্ধ ও ইতোপূর্বে পদকের সঙ্গে পাওয়া সকল অর্থ ফেরতের নির্দেশা দেওয়া হয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরো