গত বছরের ১৯ জুলাই নিহত হয় ৪ বছরের শিশু আব্দুল আহাদ। সে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সর্বকনিষ্ঠ শহীদ। ‘৩৬ জুলাই উদযাপনে’ তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাধারণ মানুষ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় ৮ তলার উপর তার বাবা-মায়ের মাঝে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল আব্দুল আহাদ। এ সময় বাসায় নিচে ছাত্র ও পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নিহত হয় আহাদ। সে ‘জুলাই সর্বকনিষ্ঠ যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত।
শহীদ আব্দুল আহাদ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের আবুল হাসান ও মা সুমি আক্তারের পুত্র।
তার স্মরণে ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আহাদের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধাসহ শোক ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে আব্দুল আহাদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন- ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. আসিফ ইকবাল, নির্বাচন অফিসার হাচেন উদ্দিন, শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাঙ্গা উপজেলা সমন্বয়ক শেখ আশরাফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ জুলাই শুক্রবার বিকালে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষ চলাকালে আহাদ তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। পরদিন শহীদ আহাদের গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।